আমার সামনে একটা বিরাট জঙ্গল
সভ্যতার সবটুকু ছেড়ে দিয়ে দেখি ঐ জঙ্গলেই আমার মঙ্গল
জঙ্গল নয়, যেন শান্তি
জঙ্গলে গিয়ে দেখি মিটে গেছে সব ভুল; মুছে গেছে সব ভ্রান্তি
এখন জঙ্গলটা পড়ে আছে একা
ওখানে এখন আর কাউকেই যায় না দেখা
এরফলে লোকালয়ে বসে কেউ আর জঙ্গলের মাহাত্ম্য পায় না।
জঙ্গল সাফ করার চেষ্টা চলছে দেদার
জঙ্গলটা যেন জঞ্জাল হয়ে উঠেছে চোখে সবার
জঙ্গল আর জঞ্জাল এক নয়
জঞ্জাল মনে না করে জঙ্গলকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়
চাকচিক্যে মোড়া পাথরের পৃথিবীতে আজ জঙ্গলই একমাত্র সহায়
ভালো লাগেনা এখন লোকালয়
লোকালয়ে করলে প্রবেশ প্রাণে জাগে ভয়।
অদূরে ঐ গাছগুলো নীরব দর্শকের মত সবকিছু শুনছে
আমিও আছি দাঁড়িয়ে ঐ গাছেরই কাছে
আমাকেও গাছ ভেবে সে কত কথা বলছে
গাছের গোপন আর্তনাদে এগোয়নি কোন মানুষ
তৃণদের কান্না ভাঙ্গাতে পারেনি মানুষের হুশ
নেমে আসা অন্ধকারের মত জঙ্গলও আয়ু-গোনে
আয়ু গোনে জঙ্গলের নাগরিক প্রাণী যত মনে মনে
কত বিরল জাতের পাখি তবু মারে উঁকি এই বনে
ভাবে তারা প্রাণপণ চেষ্টায় কোন উপায় বাঁচা যায় যদি দেখি
এইসব দেখে দেখেই হয় অবাক; বলে একি ?
মানুষেরাই গিলে খাবে সবই কি ?
জঙ্গল প্রশ্ন শুধায় মানুষের নিকট
বন্যপ্রাণীরা দেখছে সম্মুখে দাঁড়ায় জীবনের সংকেত বিপদ বিকট
উল কার মত আজ মানুষের চরিত্র দেখি দিবারাত্র
হে মানুষ তোমরা মানুষ হও তোমরাই যে এই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জীব চরিত্র।