ঠাকুর তোমার খেলাঘরে ভাবের আসন পাতি,
অহর্নিশি জপছি নাম সান্ধ্য হতে প্রভাতী।
তোমার পায়ের ধুলোয় পুণ্য ভূমি কাশীপুর,
তোমার আবির্ভাবে ধন্য হয়েছে কামারপুকুর।
মাতৃভক্ত আর তুমি পরম সমার্থক—
ভিক্ষা দিয়ে ধনি কামারিনীর জীবন সার্থক।
দক্ষিণেশ্বর তোমার হাতে,নির্ভার রাসমণি,
সারদা মা যোগ্য সঙ্গত,যোগ্য অর্ধাঙ্গিনী।
মনবাঞ্ছা পূরণে পিতা তুমিই কল্পতরু—
স্নেহের পরশে আর্দ্র হয়েছে শুষ্ক হৃদয় মরু।
রামকৃষ্ণ নামের মধুর স্বাদ বিতরিলে জনে জনে,
বকলমে নিলে গরল নিজ অন্তর গহীনে।
পরমহংস রূপে নাথ কর পঙ্ক থেকে উত্তোলন,
মানবধর্ম হতে কখনও যেন না হই অবনমন।
কায়মনোবাক্যে যেন থাকতে পারি সৎ
অবিচলিত এ আদর্শে “যত মত তত পথ”।
মৃত্যুবধি রামকৃষ্ণাদর্শে আমি না হই দিশেহারা—
ধর প্রভু হাত এ জনমে,তুমি যে ধ্রুবতারা।।