আমি যে কোমল ছোট্ট কুসুম কলি,
নিত্য ভ্রমর গুনগুনিয়ে যায় খেলে ফিরে চলি।
দখিনা বাতাস বহে অনিবার সাথে,
খুশির আবেশ ছড়ায় সুখে নন্দে দিবস রাতে।
সৌরভে মোর মত্ত মাতাল হয়ে,
পক্ষীসকল থাকে বিভোর মদালসা ভাব লয়ে।
রবির কিরণ ফোঁটায় পাপড়ি দল,
আলোক প্রভায় প্রস্ফুটিত হই যে ধরণী তল।
প্রজাপতি যত রঙিন পাখনা মেলে,
উড়ে চারিপাশে স্পর্শ আশে অনাবিল মায়া ঢেলে।
মৌটুসিদের ব্যাকুলতা দেখি রাশি,
মধু পান তরে ছন্দে তালে উড়ে আগে পিছে আসি।
বাগে রই একা রাতের আঁধার মাঝে,
জোনাকি তখন দেয় পাহারা আলোকে ভরিয়ে রাজে।
শিশির ধৌত স্নিগ্ধ মধুর প্রাতে,
ঝলমলে মন পৃথ্বী ‘পরে খুশি আনন্দে মাতে।