কাব্যের স্পন্দনধ্বনি,তরঙ্গের লীলা,
অনুভূত হয় যবে ,ছন্দ জাগে মনে।
পদ নিয়ে শুরু হয়, বিন্যাসের খেলা,
মাত্রা বৃত্ত ছন্দ রূপ,পায় সেইক্ষণে।
ছন্দ জাগে কবিমনে, মানব জীবনে,
ছন্দে ছন্দে নেচে চলে, দুরন্ত ঊর্মি।
নাচে বাতাস ছন্দে ছন্দে,ছন্দ নিশিদিনে,
ছন্দে নাচে তরুলতা, সবুজ বনানী।
ছন্দ আছে আবর্তনে,গ্রহের ঘুর্ণনে,
স্ব স্ব কক্ষে আবর্তিত,অনাদি অনন্ত।
ছন্দ আছে নটরাজের,প্রলয় নাচনে,
ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে, সকল দিগন্ত।
শৈলশিরা হতে ধারা,ছন্দে আসে নেমে,
ছন্দে ছন্দে ধেয়ে চলে,নদীর মোহনায়।
সাগর সাথে মেশে সেথা, প্রবল গর্জনে,
উচ্ছলিত তরঙ্গেতে ,সিন্ধুপানে ধায়।
ছন্দ মানে হৃৎস্পন্দ,ছন্দ মানে বাঁচা,
ছন্দ মানে পথে চলা,ছন্দ গতিময়।
থেমে যাওয়া মানে হলো,ছন্দ বিহীনতা,
ছন্দবিহীন হলে পরে,সৃষ্টি হবে লয়।