চাহিদা পূরণ – পর্ব ৪২
কয়েকদিন গতানুগতিক জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত সুমেধা, দেবাংশু নিজের কাজে ব্যস্ত, হঠাৎ একদিন বাড়িতে ফেরার সময় পুলিশ অফিসার ফোন করেন, সুমেধা কল রিসিভ করলে অফিসার বলেন আপনি একবার থানায় আসতে পারবেন এখন? সন্মতি জানানো ছাড়া উপায় নেই, অগত্যা থানায় রওনা দিয়ে ঘন্টা খানেক পর পৌঁছে যায়। কিছুটা সময় বসে থাকার পর পুলিশ অফিসার ডেকে পাঠান। সুমেধাকে বসতে বলেন, সুমেধা সিটে বসে, অফিসার: আপনিতো বেশ বুদ্ধিমতি মহিলা আপনার পুরানো বন্ধু তদ্ভবের সঙ্গে রিক্তার যোগাযোগ হয়েছিল কয়েকবার আপনি জানাননি তো, রিক্তার,আপনার, আপনার অফিসার এবং তদ্ভবের লাস্ট মাসের মোবাইল কল এবং ম্যাসেজ আমরা দেখেছি তদন্তের স্বার্থে সেক্ষেত্রে তদ্ভব বাবুর সঙ্গে রিক্তার ঘনিষ্ঠতা ছিল বোঝা যাচ্ছে। চোয়াল শক্ত করে সুমেধা বলে হ্যাঁ স্যার, আমি পরে জেনেছি রিক্তার মুখে, তদ্ভবকে এই বিষয়ে আমি যথেষ্ট কটুক্তি করেছি কিন্তু স্যার তদ্ভবতো আগেই কলকাতা ছেড়ে চলে গেছে,ওর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা,ক্ষমা করবেন আমি তদ্ভবের আচরণে নিজেও shocked, তবু বলছি ও খুন করতে পারে না। অফিসার: তদ্ভব আপনার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছিলেন, আপনি পাত্তা না দিলেও রিক্তা টাকা এবং ক্ষমতার টোপে পা দেয়। সুমেধা: আমি বুঝতে পারিনি তদ্ভবের সঙ্গে ওর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে, তাহলে সাবধান করে দিতাম অবশ্যই। অফিসার ( তাছিল্য পূর্ণ হেসে) : কাকে সাবধান করতেন ম্যাডাম? আপনার অগোচরে অফিসেই কত কান্ড করেছে রিক্তা, অর্থ এবং কাম একসাথে মেটাতে গিয়ে খুন হতে হয়েছে,সন্দেহের তালিকায় অফিসের অনেকেই আছে, তদ্ভব বাবুর সঙ্গে আজ কথা হয়েছে, ওনাকে থানায় আসতে হবে,তবে আপনাকে একটা কাজ করতে হবে, আগামী কাল অফিসে পৌঁছে বলতে হবে গল্পোচ্ছলে পুলিশ অফিসার একাধিক খুনীর ফিঙ্গার প্রিন্ট পেয়েছে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে, কিন্তু আরেকবার কনফার্ম হতে চাইছে। এই কথাটা শুধুমাত্র আপনার এবং আমার মধ্যে থাকবে, বুঝতে পেরেছেন, আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি আশা করি, সুমেধা: সন্মতি সূচক মাথা নাড়ে। অফিসার: ইতিমধ্যে ওপর মহলের চাপ এবং ঘুষের অফার পেয়েছি,দেখি কতটা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি… সুমেধা: আমি চেষ্টা করবো তদন্তে সহযোগিতা করতে,আসছি স্যার।বাড়িতে ফিরে বড়ো ক্লান্ত মনে হয় নিজেকে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সবকিছু যেন ঠিক হয়ে যায়….