চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩৮
গাড়িতে বস চরু দাকে একই কথা বলে, একটু বুঝেশুনে উত্তর দেয় যেন।থানায় ওদের তিনজনের পৌঁছতে ঘন্টা খানেক সময় লাগে। থানায় ওসি মিনিট দশেক বসিয়ে রাখার পর প্রথমে একসাথে ওদের সঙ্গে কথা বলেন, ওসি খুনের স্থান এবং শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে জানান। তারপর ওদের আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রথমে বস, তারপর চরু দা, তারপর সুমেধাকে ডেকে পাঠান। অফিসার: আপনি কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন? রিক্তার অফিসে কারও সঙ্গে মনোমালিন্য বা কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল? আপনি একসাথে অনেকটা সময় অফিসে থাকতেন ও কখনো এমন কিছু আপনার সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিল যাতে কোন আশঙ্কার আভাস পাওয়া যায়? পুলিশের কাছে কিছু লুকানো বোকামি হবে, আমদের তদন্তে সহায়তা করবেন আশা করি… সুমেধা উত্তরে বলে এখনকার মডার্ন মেয়েরা যে ধরনের জীবন যাপন করে সেই রকমই ছিল রিক্তা,বেশ কিছু বয়ফ্রেন্ড ছিল, ছেলেদের প্রেমে ফেলার নেশা ছিল ওর, সুমেধা কেঁদে ফেলে,তবে স্যার মেয়েটা খুব সহজে সরল ছিল এতো বড় ক্ষতি ওর কে করলো, ভাবতে পারছি না। বেশ কিছুটা সময় কথা বলার পর অফিসার জানান আপনাকে দরকার পড়লে ফোন করবো বা ডেকে পাঠাবো,আর এখন কদিন শহর ছেড়ে কোথাও যাবেন না। বডি পোস্ট মর্টেম হবার পর আরো কিছু তথ্য পাওয়া যাবে, খুনী যতো চালাক হোক কিছু সুরাগ ছেড়ে নিশ্চিত যাবে। সুমেধা: হাতজোড় করে বলে সুবিচারের আশায় থাকবো। থানা থেকে বেরিয়ে ওরা রিক্তার বাড়িতে যায়, রিক্তার বাবা মাকে বস আশ্বাস দিয়ে বলেন রিক্তার প্রাপ্য যাতে আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারি চেষ্টা করছি,আজ কিছু টাকা রাখুন, আপনাদের ক্ষতি অপূরণীয়, তবে মনে জোর রাখতে হবে। রিক্তার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন, সুমেধা এগিয়ে গিয়ে সান্ত্বনা দিতে থাকে।