চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩২
রিক্তার কান্না দেখে সুমেধার দুচোখে জল আসে, তদ্ভবের এতটা পরিবর্তন বিশ্বাস করতে পারে না। রিক্তাকে বলে তোর বাবার শরীর খারাপের জন্য ছুটি বলে তুই তদ্ভবের সঙ্গে হোটেলে দেখা করেছিস? ছেলেদের নিয়ে প্রেমের খেলা তোর পুরানো অভ্যাস, কিন্তু এইভাবে তোকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি,যা ঘটেছে ভুলে যেতে চেষ্টা কর, একসময় তদ্ভব, আমি খুব ভালো বন্ধু ছিলাম,ওর পদোন্নতি হয়ে এতটা চরিত্রস্খলন ঘটেছে ভাবতে খুব কষ্ট হচ্ছে। রিক্তা: সুমেধা দি এই কথাগুলো যেন কেউ জানতে না পারে। সুমেধা: কেউ জানতে পারবে না, তুই নিজেও ভুলতে চেষ্টা কর, সময়ের সঙ্গে সব ক্ষত সেরে যায়। এখন ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে জল দিয়ে আয়,কান্না লুকিয়ে রাখতে শেখ, জীবনের নিষ্ঠুর সত্যি মেনে নিতে হয়, আমি জানি তুই পারবি। রিক্তা:যখন শুধরাতে চাইলাম তখনই মুখ থুবড়ে পড়লাম হয়তো।
অফিসে বেশ কিছুজন এসে যাওয়ায় ওরা আলোচনা বন্ধ করে নিজের কাজ করতে শুরু করে।রিক্তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কথাগুলো বললেও সুমেধার নিজের মনে অশান্তি সৃষ্টি হয়,ল্যাপটপে কাজে বেশ কিছু ভুল হয়ে যায়,আবার করে। অফিসের থেকে বেরোনোর সময় রিক্তাকে দেখতে পায় না, ওয়াশরুমে আছে হয়তো, ওকে নিজের মতো করে সামলে উঠতে হবে, বেরিয়ে আসে সুমেধা। তদ্ভবের জন্য রাগ, ঘৃণা যেন বেড়ে ওঠে,যে মানুষটাকে একসময় ভালোবেসেছে সেই মানুষটা এতটা নীচ!!