চাহিদা পূরণ – পর্ব ৩০
জোজো দেবাংশুর সাথে খেলছে দেখে, সুমেধা দেবাংশুকে বলে তুমি ওকে ব্রাস করিয়ে দাও চা খেয়ে, আমি জলখাবার বানিয়ে নিয়ে ওকে স্কুলের জন্য রেডি করবো। দেবাংশু : আমি আজ জোজোকে স্কুলবাসে পৌঁছে দেব। সকাল সকাল ঐ জন্যইতো এলাম , আমার জোজো সোনার জন্য, তুমি অফিসে যাও।জোজো: আমি বাবার সঙ্গেই যাবো… সুমেধা হেসে বলে ঠিক আছে, তুমি যদি ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করো তবেই তোমার কথা শুনবো। দেবাংশু: হ্যাঁ, আমরা একসাথে জলখাবার খেয়ে বেরোবো। সুমেধা রান্নাঘরে ঢুকে জলখাবার বানানোর সময় দেখে সামনের গাছে একটা পাখি বাসা বেঁধেছে, আগে খেয়াল করে নি,বাসার ভেতর থেকে পাখির ছানাদের হলুদ ঠোঁট বেরিয়ে আছে,মা পাখি খাবার মুখে এনে বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে, কি অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী, জোজোকে কোনো সময় দেখাতে হবে, খুব খুশি হবে দেখলে। পাখিটার দিকে তাকিয়ে সুমেধার মনে হয় কতো সুন্দর এই বন্ধন,পর মুহূর্তে নিজের রান্না এগোতে থাকে, নিজের ভাবুক স্বভাবের জন্য নিজের মনে হাসতে থাকে।
জলখাবার খেয়ে দেবাংশু জোজোকে বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় বলে এক বন্ধুর বাড়িতে একবার যাবে, কিছু কাজ আছে। সুমেধা ওরা বেরিয়ে যাওয়ার পর রেডি হয়ে বেরোনোর সময় শাশুড়ি মা বলেন রোহনের ঠাকুমার কাজের দিনে তুমি যেতে পারবেতো? সুমেধা:হ্যাঁ, আমি অফিসে জানিয়ে রাখবো। অফিসের জন্য রওনা দেয় সুমেধা।