চাহিদা পূরণ – পর্ব ২৯
সুমেধা আগেই বাড়িতে ফোন করে দিয়েছিল, বাড়িতে ফিরতে শাশুড়িমা বলেন জানি তুমি কাজে আটকে গিয়েছিলে, কিন্তু দেবাংশু নেই ছেলেটা সারাদিন এই বুড়ির কাছে। সুমেধা: হ্যাঁ মা, কিছু করার ছিল না, অফিসে আজ অনেকেই আসে নি, রিক্তার বাবা অসুস্থ,সুবল দা বাইরে গেছে,তাই আমায় যেতে হলো। তবে জোজো আপনার সঙ্গে থাকতে পছন্দই করে। রাতে জোজোকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে ফোনটা বেজে কেটে যায়। জোজো ঘুমিয়ে পড়লে ফোনে দেখে রিক্তার মিসড কল, রিং ব্যাক করে, রিক্তা ফোন ধরলে সুমেধা জিজ্ঞেস করে এখন কাকু কেমন আছেন? রিক্তা: ভালো, একটু থেমে বলে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো সুমেধা দি? সুমেধা: বল, রিক্তা: তদ্ভব স্যার আর তুমি কলেজের বন্ধু ছিলে? মানে শুধুই বন্ধু? সুমেধা: একটু গম্ভীর হয়ে উত্তর দেয় হ্যাঁ, শুধুই বন্ধু, কিন্তু কেন? রিক্তা: না কিছু নয়, আমি সামনের সপ্তাহে অফিসে জয়েন করতে পারবো, এখন রাখি। সুমেধা: ওকে। ফোনটা ছাড়ার পর মনটা তিক্ত হয়ে যায়, দেবাংশুকে ফোন করে, দেবাংশু ফোন রিসিভ করে বলে,স্যরি,আজ খুব কাজের চাপ ছিল, তোমায় আদর করতে মানে ফোন করতে ভুলে গিয়েছিলাম। সুমেধা:সব সময় তোমার মুখে বাজে কথা। দেবাংশু: মুখটাইতো বাজে। দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলার পর, ফোন রেখে দিয়ে সুমেধা ঘুমিয়ে পড়ে। দিন দুয়েক পর দেবাংশু বাড়িতে ফিরে আসে তখন প্রায় ভোর পাঁচটা। মোবাইলের শব্দে ঘুম ভাঙে সুমেধার , নীচে নেমে দরজা খুলে দেয়, শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠে পড়েন। দেবাংশুর সাথে কথা বলতে থাকেন।সুমেধা:চা করে আনি? দেবাংশু: আমি স্নান করে নেবো, তুমি ওপরে নিয়ে এসো। দেবাংশু ওপরে ঘরে চলে যায়।সুমেধা চা বানিয়ে শাশুড়ি মাকে দিয়ে, দেবাংশুর আর নিজের চা ওপরে ঘরে নিয়ে গিয়ে দেখে দেবাংশু স্নান সেরে বেরিয়ে এসেছে। সুমেধা চা ছোট টেবিলে রেখে বলে, জোজোকে ঘুম থেকে তুলতে হবে। দেবাংশু ব্যাগ থেকে দুটো ক্যাডবেরি বার করে বলে একটা জোজোর, একটা জোজোর মায়ের। সুমেধা (হেসে): খুব হয়েছে,চা খাও। দেবাংশু ক্যাডবেরির মোড়ক খুলে, হঠাৎ করে সুমেধাকে নিজের কাছে টেনে সোফায় বসে পড়ে, সুমেধা প্রায় দেবাংশুর কোলে, জোর করে দেবাংশু ক্যাডবেরির টুকরো মুখে পুরে দেয় সুমেধার , তারপর হাত দিয়ে ঠোঁটে মাখিয়ে দেয়, সুমেধা: কি করছো,ছাড়ো। জোজো ঘুম থেকে উঠে পড়ে বলে বাবা তুমি এসে গেছো? সুমেধা তাড়াতাড়ি উঠে পড়ে মুখ মুছে নেয়, দেবাংশু জোজোর কাছে গিয়ে বলে হ্যাঁ এসে গেছি,আজ আমি তোমাকে স্কুলে নিয়ে যাবো। বিকালে খেলবো।
জোজো: কি মজা, কি মজা, মা একদম খেলতে চায় না।