চাহিদা পূরণ – পর্ব ২৫
রাস্তায় বেশ যানজট, সামনে দেখে একটা বাচ্ছা খেলনা বিক্রি করছে, দেখে বেশ কষ্ট হয় সুমেধার,ওর নিজের এখন খেলার বয়স, জীবন বড়ই নিষ্ঠুর, গাড়ির কাঁচে এসে টোকা দিলে, সুমেধা জোজোর জন্য একটা টেডি কিনে নেয়,ব্যাগ থেকে একটা চকলেট ছেলেটার হাতে দেয়,একমুখ হাসি নিয়ে ছেলেটা চলে যায়, মনটা ভালো হয়ে যায় সুমেধার। বাড়িতে ফিরে স্যানিটাইজ করে জোজোকে টেডি দিতে খুব খুশি হয়ে নেয় জোজো।
ফ্রেশ হয়ে নেট অন করে দেখে দেবাংশু বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছে কাজের ফাঁকে টুকিটাকি ভ্রমণের, সুমেধা লেখে ভালোই আছো, কাজের নামে ঘুরে বেড়াচ্ছ,মেয়ে দেখছ,আর আমায় খুশি করতে ছবি পাঠাচ্ছ,
দেবাংশু: জীবন মরুভূমি তুমি ছাড়া,
আমি খুঁজে ফিরি তোমায় হয়ে দিশেহারা … সুমেধা: নিজের মনে হাসে, দুজনের কথোপকথন চলতে থাকে, দেবাংশু বলে ভিডিও কল করছি, জোজোর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর গোমতী দেবী কথা বলেন,সবার খোঁজ খবর নিয়ে ফোন রেখে দেয় দেবাংশু। রাতে খাওয়া মিটিয়ে জোজোকে ঘুম পাড়াতে গেলে হঠাৎ রাতে বায়না করে মা এখন টেডি নিয়ে খেলবো, বকাবকি করলেও শুনতে চায় না, জোজোর ঘুমাতে একটু রাত হয়ে যায়। মোবাইল ভোরবেলা এলার্ম দিতে গিয়ে দেখে রিক্তার ম্যাসেজ: বাবার শরীরটা একটু খারাপ হয়েছে,চেকআপে নিয়ে যাবো আগামী কাল, কিছু টেস্ট করাতে হবে,দু তিন দিন মনে হয় অফিসে যেতে পারবো না, একটু সামলে নিও, অফিসে কাল সকালে জানাবো। সুমেধা: ঠিক আছে, চিন্তা করিস না, আমি সামলে নেবো।