চাহিদা পূরণ – পর্ব ২২
অফিসে থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নীতাকে বাস স্টপেজে দেখে গাড়িটা থামিয়ে তুলে নেয়।নীতা বলে বাড়ি থেকে একটা ইন্টারভিউ দিতে বেরিয়ে ছিলাম ,আগের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি আগের মাসে, বর্তমানে বেকার। সুমেধা: তোর বাড়ির গাড়ির কি হলো, অবশ্য আমি এভাবেই যাতায়াত করি,এই বয়সে চাকরি ছেড়ে দিলি কেন? ইন্টারভিউ কেমন হলো?নীতা: অফিসে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে তুলছিল, প্রথম প্রথম একটু পাশকাটিয়ে চলার অভ্যাস করলেও শেষ পর্যন্ত যুঝতে পারলাম না নোংরাপনা যে আসে না। নিজেকে প্রফেশনাল করতে পারলাম না, এখন চাকরির চেষ্টা করছি, আজকের ইন্টারভিউ মোটামুটি ভালো হয়েছে, তবে নতুন অফিস মানে নতুনভাবে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া।তোর খবর কি? কতদিন পর দেখা হলো, মনটা ভালো হয়ে গেলো। পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে খুব ভালো লাগে।সুমেধা: তদ্ভবের কথা বলতে গিয়ে চুপ করে যায়।অল্প হেসে বলে একটা বায়োডেটা দিয়ে রাখিস আমায়, আমাদের অফিসে কিছু নতুন নিয়োগ হবে,আর মাথাটা ঠাণ্ডা রাখতে শেখ, আমরা কখনোই শুধু সুগৃহিনী হয়ে থাকতে পারবো না। নীতা: হুম, ঠিক বলেছিস, হয়তো মানিয়ে নেওয়া যেত, হঠকারিতা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়। সুমেধা: ঠিক আছে, তোর রেজাল্ট ভালো,কাজ করেছিস স্বাধীনভাবে, ভবিষ্যতে ভালোই হবে, মনে জোর রাখ। দুই বন্ধুর গল্প চলতে থাকে। নীতাকে বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে সুমেধা বলে দুজনের বাড়ির দূরত্ব মিনিট পনেরো অথচ দেখ কোনো যোগাযোগ নেই, এবার আমরা মাঝে মাঝে গল্প করবো। নীতা: হ্যআঁ, খুব ভালো লাগলো, কদিন এক প্রকার ডিপ্রেশনে ছিলাম,আজ মনটা হালকা লাগছে। সুমেধা: you are precious, value yourself. তোর সেই গল্পটা মনে আছে তো। নীতা: ঠিক বলেছিস….