চাহিদা পূরণ – পর্ব ২০
বাড়িতে পৌঁছাতেই জোজো সুমেধাকে জড়িয়ে ধরে বলে জানো মা তোমরা কাজে আটকে গিয়েছিলে তাই বাড়িতে ফিরতে পারো নি,ঠান্মি আমাকে খাইয়ে দিয়ে গল্প বলে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছ। সুমেধা: আমার সোনা ছেলে, খুব ভালো। এখন তুমি পড়তে বসো, আজকেও আমাকে বেরোতে হবে কিন্তু তোমার বাবা বাড়িতে থেকে কাজ করবে, তুমি ভালো ছেলে হয়ে থাকবে তো? জোজো:থাকবো, কিন্তু আমার জন্য চকলেট আনবে। সুমেধা: আচ্ছা,আনবো, তুমি এবার একটু বই নিয়ে বসো। সুমেধা স্নানে যাওয়ার আগে শাশুড়ি মাকে বলে আজ বেরোতে হবে, আমি বাথরুমে যআচ্ছই, এসে ব্রেকফাস্ট করবো।গোমতী দেবী: পাঁউরুটি,ডিম সিদ্ধ করে রেখেছি, তুমি স্নানে তাও, তৃণা আসবে আমার অসুবিধা হবে না।দেবাংশুকে বলেন তোর পিসির শরীর ঠিক আছেতো? বিপদ যখন আসে একসাথেই আসে, রোহন এখন এখানে থেকেই অফিসে যাতায়াত করবে নিশ্চয়ই। দেবাংশু: পিসিকে কদিন নার্সিংহোমে ছোটাছুটি করতে হয়েছে,পায়ের ব্যাথাটা বেড়েছে, প্রেসার হাই,একটু বেশি টেনশন করছে, ভাগ্য ভালো বাড়িতে টাকা পয়সা বেশি রাখা ছিল না, সুমেধা ছিল বলে সাময়িক ভাবে সামলে নিয়েছে। গোমতী: পরিস্থিতি টেনশন করবার মতো, রোহনের বিয়ে সামনে,আর কি অঘটন ঘটে গেল,দেখি বেলায় একবার ফোন করবো, সকালে যদি ব্যস্ত থাকে, তাই ফোন করিনি। দেবাংশু: পিসিকে একটু বুঝিয়ে বলো, রোহনের ঠাকুমার কাজে যদি কোন কিছু করতে হয়, আমি যাবো। রোহনের বিয়ের দিন যেটা কার্ডে ছাপা হয়েছে সেটাই যেন থাকে, দোষ কাটিয়ে নিতে হবে। ছেলেটা বিয়ে মিটলে একটু স্বস্তি বোধ করবে, পিসির ও সুরাহা হবে,খারাপ সময় কাটাতে হবে তবেই ভালো সময় সম্পর্ক এসে ধরা দেবে। গোমতী: হেনার বাবা অসুস্থ, বিয়ের পর রোহনের স্বস্তি ফিরে আসে না নতুন অস্বস্তি বোধ শুরু হয় সেটাই দেখার,আর চাকরীরতা বৌমারাতো বাড়িতে অতিথি হয়েই থাকে, ঠিক আছে বোঝাবো। দেবাংশু: মা, তোমাদের চিন্তা ভাবনা বদলাও, সবাই স্বাবলম্বী হতে চায়, তাতে সুবিধার দিক কিছু আছে নিশ্চয়ই,যুগোপযোগী হতে হবে সবাইকে। গোমতী: হ্যাঁ, অবশ্যই , তুই যখন থাকিস না তখন বৌমা আমার খেয়াল রাখতে চেষ্টা করে, পারষ্পরিক সহযোগিতায় সংসার সুখের হয়, এখন তুই কথা না বলে বাথরুমে স্নান সেরে নিয়ে আয়, বৌমা হয়তো বেরিয়ে এসেছে, সুমেধা নীচে নেমে এসে বলে হ্যাঁ, তুমি বাথরুমে তাও। জোজোর স্কুলের অনলাইন পেমেন্ট আজকে যদি সম্ভব হয় করে দিও, না হলে আমি করে দেবো।দেবাংশু:হ্যাঁ, ঠিক আছে, আমি আজ করে দেবো।