চাহিদা পূরণ – পর্ব ১৯
পিসির বাড়ি পৌঁছে কিছুটা অবাক হয়ে যায় সুমেধা,গেট খোলা, বাড়ির দরজার একটা পাল্লা খোলা , একটু চিন্তিত ভাবে দ্রুত এগিয়ে আসে সুমেধা, পিসির পায়ের ব্যাথার জন্য আস্তে আস্তে আসছেন পিছনে। দরজা ঠেলে ঢুকে বুঝতে বাকি রইলো না, চুরি হয়েছে, চতুর্দিকে জিনিস ওলটপালট হয়ে পড়ে আছে। পিসি দরজার সামনে এসে আঁতকে উঠে বলেন একি! কি কান্ড, দরজা খুলেছে কে? এইভাবে জিনিস লন্ডভন্ড করেছে! সুমেধা পিসিমাকে ধরে বলে শান্ত হয়ে বসো পিসি, মনে হচ্ছে চুরি হয়েছে, তোমরা বাড়িতে ছিলে না , আলমারিতে টাকা পয়সা কি আছে দেখে নাও। পিসিমা: ভাগ্য ভালো সোনার জিনিসগুলো সেদিন লকারে রেখে এসেছি। আলমারিতে কিছু টাকা ছিল, দেখছি। সুমেধার সন্দেহ ঠিক, আলমারিতে টাকা নেই,জামা কাপড় চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে আছে। পিসি বলেন হায় ঈশ্বর,সব ধরনের বিপদ একসাথে আসে!! সুমেধা ওদের খবর দাও, সুমেধা: ওরা ফিরে আসুক, এখন বলে কি হবে? আমি যতটুকু পারি গুছিয়ে রাখছি, থানায় খবর দিতে হবে, পুলিশের দ্বারা কোন সুরাহা না হলেও একবার জানানো দরকার। তুমি স্নান সেরে নিয়ে এসো, পিসিমা: আমার কিছু ভালো লাগছে না। থানায় জানানোর কিছুক্ষণ পর অফিসার এসে দেখে যান, কাল রাতে বাড়িতে কেউ ছিল না তাই চুরি হয়েছে, মতামত দিয়ে বেরিয়ে যায়। পিসিমাকে একপ্রকার জোর করেই স্নানে পাঠিয়ে দেয় সুমেধা, নিজেও ফ্রেশ হয়ে নেয়। শাশুড়ি মাকে ফোন করলে উনি বলেন জোজোকে রাতে সামলে নেবেন, সিকিউরিটি আছে তাই চিন্তা করতে হবে না,অতরাতে দেবাংশুকে ড্রাইভ করে ফিরতে হবে না।রোহনদের ফিরতে যথারীতি দেরি হয়। সুমেধা আস্তে আস্তে চুরির ঘটনা জানায়, পিসিমা হঠাৎ বলে ওঠেন হেনা অপয়া, না হলে বিয়ের ঠিক হওয়ার পর যত অঘটন ঘটে চলেছে।রোহন: কি বলছো মা, তুমি নিজে শিক্ষিত হয়ে এই ধরনের কথা বলতে পারছো! দেবাংশু: পিসি, বিপদের সময় মাথা ঠাণ্ডা রেখে চলতে হবে, মেয়েটি সারাদিন নার্সিংহোমে বসেছিল, এইভাবে বলো না। পিসেমশাই: মেয়েটি বড়ো ভালো মেয়ে,ঐসব কথা মনে আনাই পাপ। এখন আমাদের মায়ের কাজ ভালোভাবে করতে হবে,নাত বৌ এর মুখ দেখে মা নিশ্চিন্তে মুক্তি পেয়েছে। রাতে রোহনকে সুমেধা বলে হেনা খুব ভালো মেয়ে, তোমারা খুব সুখী হবে।রোহন: বৌদি, মাকে একটু বুঝিও, সুমেধা: চিন্তা করো না,সব ঠিক হবে,আমরা আছি তো।
পরদিন সকালে দেবাংশু, সুমেধা বাড়ির জন্য রওনা দেয়। সুমেধা বলে বাড়ি পৌঁছে বেরোতে হবে, দেবাংশু: ঠিক আছে, আমি আজ বাড়িতে থাকবো।