চাহিদা পূরণ – পর্ব ১৭
ট্যাক্সি এসে পৌঁছালে উঠে বসে সুমেধা, মোবাইল ফোনে ছেলের, দেবাংশুর ফটো স্ক্রল করতে থাকে, মনে মনে ভাবে দেবাংশুকে সম্পূর্ণ ঘটনা বলবে কি? তারপর ভাবে জ্বরের ঘোরে বহুদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তদ্ভবের, কিন্তু আগের তদ্ভব কতো ভদ্র,কত সাহায্য করেছে পড়াশোনায়, অন্য ছেলেদের থেকে টোন টিটকারী থেকে আড়াল করেছে, এতটা পরিবর্তন ঘটে মানুষের!! অফিসের প্রোজেক্টের ক্ষেত্রে তদ্ভব যদি অন্য রকম রিপোর্ট পাঠায় তবে হয়তো বসের থেকে কথা শুনতে হবে সেক্ষেত্রে হোটেলের ঘটনা কোনোভাবেই বলা যাবে না, নিজের মনেই নিজেকে বোঝাতে থাকে সুমেধা।ট্যাক্সি হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে তৃণা দিকে ফোন করে সুমেধা, ওয়ার্ড নং জেনে পৌঁছায়। তৃণা দি বলে কাল সকালে ছেড়ে দেবে বৌদি , সুমেধা কিছু টাকা তৃণা দির হাতে দিয়ে বলে রাখো, কাজে লাগবে। তৃণা দি বলে মেয়েকে একটু বোঝাও বৌদি,মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে দেখ বৌদি পড়াশোনা করেছে বলেই চাকরি করছে, দেখে শিক্ষা নে, সুমেধা এগিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, জীবন অনেক সুন্দর, তুমি পড়াশোনায় ভালো, মায়ের কষ্ট বুঝতে শেখো,যে তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে সে তোমার ছিল না কোনোদিন,ভাবো বিয়ের পর যদি অন্য মেয়ের সঙ্গে পালাতো, ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য, কথাগুলো বলতে বলতে সুমেধার মনে হয় একই কথা নিজের জন্য প্রযোজ্য… ফেরার পথে বসকে আগামীকাল ছুটি নিতে হবে জানিয়ে রাখে।ফ্ল্যাটে ফিরে কলিং বেল বাজালে দেবাংশু দরজা খুলে হেসে বলে কেমন সারপ্রাইজ দিলাম?
সুমেধা উচ্ছসিত ভাবে বলে তুমি এসে গেছো! দেবাংশু:হ্যাঁ,ম্যাডাম। জোজো বলে মা দেখো বাবা এই খেলনাটা এনেছে।ফ্রেশ হয়ে শাশুড়ি মার সঙ্গে রান্নার কাজ সারে, সবাইকে নিজের হাতে খেতে দিয়ে এক অদ্ভুত সুখ অনুভব করে। রাতে দেবাংশু পিসির ব্যাপারে আলোচনা করে, সুমেধা দেবাংশুকে তদ্ভবের কথা বলতে গিয়ে বলতে পারে না, শুধু বলে ভালোইতো ছিলে দূরে দূরে, দেবাংশু হেসে পাশে বসে বলে এইতো ফিরে এলাম শুধু তোমার কাছে….