চাহিদা পূরণ – পর্ব ১৬
দেবাংশুর ফোন রিসিভ করে সুমেধা, দেবাংশু: কোথায় আছো, অফিসে? সুমেধা: না একজন অসুস্থ হওয়ায় পৌঁছে দিয়ে বেরোচ্ছি, কেন? দেবাংশু: বাড়িতে ফিরছ এখন? সুমেধা (হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে) : না,তৃণাদির মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে তোমাকে বলেছিলাম তো, দেখতে যাবো, আজকে হয়তো ছেড়ে দিতে পারে , টাকাপয়সা কিছু দিয়ে আসবো, মেয়েটা বড়ো ভালো, একটু থেমে তুমি এই সময়ে ফোন করে, কিছু দরকারী কথা আছে? দেবাংশু: হুম, পিসির শাশুড়ির সকালে স্ট্রোক হয়েছে, খানিকটা সুস্থিত হলেও বিপদ কাটেনি, তুমিতো জানো পিসির পায়ের অবস্থা, ভাই অফিসের কাজে হায়দ্রাবাদে,আজ রাতে আমি ফিরছি,যদি তুমি কাল ছুটি নাও তবে পিসির বাড়ি একসাথে যেতাম, ভাইয়ের বিয়ের রিসেপশন নিয়ে পিসি আগেই বলেছিল একটু আলোচনা করে ক্যাটারার ঠিক করবে, তুমিতো জানো ওদের যেকোনো ব্যাপারে চিরকাল মায়ের, আমার সঙ্গে কথা বলে এগোয়, এখন আবার পরিস্থিতি আরও জটিল, বিয়ের কার্ড ছেপেছে এখন বিয়েটা ভালোভাবে মিটলে বাঁচি। সুমেধা: চিন্তা করো না, আমি অফিসে বলে কাল ছুটি নিয়ে নেবে, একসাথে যেতে পারবো আশা করি, সাবধানে ফেরো,রাখছি এখন। দেবাংশুর সাথে কথা বলার পর একটু নিশ্চিন্ত মনে হয় নিজেকে সুমেধার, ফোনে ওলা বুক করে, সুমেধার মনে হয় যেন একটা বিশাল ঝড় পেরিয়ে এসেছে,এই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ভাবতে পারে নি সুমেধা, মনের কোণে তদ্ভবের জন্য যে জায়গা সন্তর্পনে রাখা ছিল তা নস্যাৎ হয়ে গেছে আজ।