Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।

মিনিট দশেক পর ট্যাক্সি পার্কস্ট্রীটে পৌঁছালে, সুমেধা ড্রাইভার দাকে বলে দাদা গাড়িটা থামাবেন, তদ্ভবকে ডাকে,তদ্ভব ওঠ, পার্কস্ট্রীট এসে গেছে। কোনো সাড়া পায় না,গায়ে হাত দিয়ে ডাকতে তদ্ভব সাড়া দিয়ে বলে হ্যাঁ,নামবো, মাথাটা যেন ভারি লাগছে, একটু ঘুরছে। সুমেধা:চল, তোকে হোটেল পৌঁছে দিই, শরীরের যত্ন নে,
ড্রাইভার দা বলে ওঠেন আমি কিন্তু হাওড়া পর্যন্ত ভাড়া ধরে নেব। সুমেধা বচসা না বাড়িয়ে ভাড়া মিটিয়ে হোটেলের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তদ্ভবকে বলে আস্তে আস্তে নাম। হাতটা ধরতে হবে কি ভাবছে,তদ্ভব নিজে নিজে এগিয়ে যাচ্ছে দেখে সাথে হেঁটে চলে। তদ্ভব সুমেধাকে বলে দোতলায় রুমে পৌঁছে দিয়ে বেরিয়ে যাস। সুমেধা কোনো উত্তর না দিয়ে সিঁড়িতে উঠতে থাকে। রুমে পৌঁছে তদ্ভব সজোরে সোফায় বসে পড়ে, একটু জোরেই শ্বাস নিতে থাকে, সুমেধা বলে কি কষ্ট হচ্ছে তোর? তদ্ভব: একটু জল খাওয়াবি, একটু বলেই মাথাটা হেলিয়ে শুয়ে পড়ে, সুমেধা তাড়াতাড়ি একটা গ্লাসে জল নিয়ে মুখেচোখে, ঘাড়ে জল ছিটিয়ে দিয়ে, পাশে রাখা টাওয়েল দিয়ে মুছিয়ে দিয়ে বলে,হাইডোজের ওষুধের আফটার এফেক্ট, জ্বর এখন নেই, তবে ডাক্তার দেখিয়ে নিস। তদ্ভব গ্লাসের বাকি জলটুকু পান করে। সুমেধা বলে তুই ঘুমিয়ে পড়, শরীরের রেস্ট দরকার, আমি এবার আসি। তদ্ভব হঠাৎ সুমেধার হাতটা চেপে ধরে বলে, এরকম কেন হলো সুমেধা, তুই কেন আমার নয়, আমি শহর ছেড়ে চলে যাবার পর কতো রাত ঘুমোতে পারিনি এই ভেবে তুই অন্য কারোর দেওয়া সিঁদুর পরিস!! একবারের জন্য আমার কথা ভাবিস নি। সুমেধা আড়ষ্টভাবে হেসে বলে আমাকে ভুলে যা,আরতো এই শহরে সপ্তাহ খানেক আছিস, আমি আসি এখন। তদ্ভব রেগে উঠে বলে না ভুলতে পারবো না, সুমেধার হাত ধরে জোরে টানে, সুমেধা সোফার হাতলটা ধরে নিলেও ঘটনার আকস্মিকতায় প্রায় তদ্ভবের উপর গিয়ে পড়ে,নিজেকে কোনোরকমে সামলে, গালে একটা চড় কষিয়ে দিয়ে বলে এই লম্পট তদ্ভবকে আমি চিনি না। তোর বউ তোর সন্তানের মা হতে চলেছে আর তুই,ছি ছি… শরীরের ঊর্দ্ধে অনেক সম্পর্ক চিরদিন মনেতে থাকে। কোনো রকমে নিজেকে সামলে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে আসে রুম থেকে।যাওয়ার সময় কি মনে হয় রিসেপশনে বলে যায় তদ্ভবের অসুস্থতার কথা। ফোনটা বেজে ওঠে, দেবাংশুর ফোন…

Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress