চালাকি
পাখিদের মধ্যে ধূর্ত বলি কাককে। যদিও কোকিল অনেক ধূর্ত_নিজে বাসা বাঁধতে পারে না বলে কাকের বাসায় ডিম পাড়ে। এখানে কাক বোকা। অন্যের ছানাকে বড় করে দেয়। ছোট ছোট পাখিগুলোকে দেখি ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কত কথা বলে। তার ফাঁকে নিজের খাবারটা ঠিক যোগাড় করে নেয়। চিড়িয়াখানায় শিম্পাঞ্জিকে দেখেছিলাম। সেখানে এক চালাকির নিদর্শন চোখে পড়ে। কেউ পপকর্নের প্যাকেট দিতে গেছে, জলেতে পড়ে আছে। শিম্পাঞ্জি এসে আগেই একটা লাঠি খুঁজে নিয়ে এল। ছোট লাঠি নাগাল পাচ্ছে না, সে ওই লাঠি দিয়ে জলটাকে বারবার টানতে লাগলো। পপকর্নের প্যাকেটটা ভাসতে ভাসতে তার কাছে এসে পড়ল। হনুমান বাঁদর ও তাই। কোন ফাঁকে সে তোমার হাত থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে যাবে তুমি নিজেও জাননা। সেদিন একটা ছোট্ট কাঠবেড়ালির সঙ্গে আলাপ হলো। একজনের পোষা সিঙ্গী তার নাম। প্রথমে আমাকে আপ্যায়ন করল। গায়ের উপর উঠলো মাথা পর্যন্ত । কিছুক্ষণ জানালায় ওর দোল খাওয়ার কারসাজি গুলো আমাকে দেখালো। ভাব জমে ওঠার পর আমার আঙ্গুলটা আস্তে আস্তে কামড়াতে থাকলো। কিছু খাবার না দেওয়ায়, কামড় টা বেশ জোরেই হলো। সিঙ্গী তার মনিবকে কিছু করে না। এটাও তার চালাকি। ইঁদুরকে ও দেখেছি চুপিসারে লক্ষ্য করে তারপর ওর গন্তব্যস্থানে দৌড়ায়। একটা টিকটিকির আছে আমার ঘরে। মাঝেমধ্যে নীলুর সাথে খেলতে আসে। আমি দেখে ফেললে সরে যায়। নীলু আমার ডগি খুব চালাক। ওর যখনখাটে উঠতে ইচ্ছে করবে আমাকে আদর করে খাটে উঠে পড়বে। বাপ্টুন এলে ওর সাথে একটু হিংসে করে। আমি শুধুমাত্র নীলুর মা। বাপ্টুন মা বলে ডাকলে ঘেউ ঘেউ করে তাড়া করে। আর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ তো অতি চালাক। তবে অতি চালাকি পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধূর্ততা বা শঠতা নয়।