কখনো তোমার দেহ বেজে ওঠে,
যেন অনিন্দ্য বীণা।
ছুঁতে গেলে একি চোখের পলকে
হয়ে যাও মেঘলীনা।
আমার স্বপ্ন যাচ্ছে জড়িয়ে
তোমার কৃষ্ণ চুলে;
কিছু লেগে থাকে, কিছু ঝরে যায়
চুল দাগ যবে খুলে।
মেঘের ছায়ায় রেখেছি মনের
গোপন ইচ্ছে গুলি।
মেঘ উড়ে গেলে মুঠো মুঠো শুধু
ভস্মের কণা তুলি।
বয়স এখন দস্যুর মতো
পরমায়ু দ্রুত কাড়ে
হৃদয় আমার গলে পুড়ে খাক
তোমার স্বৈরাচারে।
একটু দাঁড়াও, মুদ্রিত হোক-
মনে কিছু কিছু স্মৃতি
কেন তার পথ আগলে দাঁড়াই,
চলে যাওয়া যার রীতি?
মুখস্থ বলি তোমাকে এখনো
একেবারে ক্রটিহীন।
কিন্তু তবুও শরীরে আমার
ঢেলে দাও কেরোসিন।
অবমাননার শেকলে বন্দি
পড়ে আছি এক কোণে।
জাঁহাবাজ শিখা চাটুক আমাকে
এ ছিল তোমার মনে।
মনের কোটরে কেউটে ঘুমায়,
কখন জাগাবে তাকে?
তোমার দু’চোখ লেগে থাকে দেখি
ঝাউবৃক্ষের শাখে।
বিশ্বেস করো, তোমাকেই ভাবি,
ভাবছি অহর্নিশ।
অমৃত চেয়েছি তৃষ্ণা মেটাতে,
উগরে দিয়েছো বিষ।
পারবে কি কেউ আমার মতোন
পোড়াতে নিজের ঘর?
পারবে ছিন্ন করতে নিজেরই
মুণ্ডু এবং ধড়?