বয়স আটাত্তর বছর পেরনোর পরে
আঘাতের চিহ্ন নিয়ে সারা শরীরে
ভর্তি হলেন হাসপাতালের আইসিইউ ঘরে
বৃদ্ধ ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর চিরাচরিত অত্যাচারে।
স্বামীর বয়স আশি পেরিয়ে গেছে
বৃদ্ধা স্ত্রী কিডনির অসুখে ভুগছে
নিয়মিত তার ডায়ালিসিস চলছে
সম্প্রতি বৃদ্ধা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে।
স্বচ্ছল অভিজাত উচ্চশিক্ষিত পরিবার
বৃদ্ধা আর কত সহ্য করবে বৃদ্ধের প্রহার
আশৈশব সন্তানেরা দেখেছে অত্যাচার
পারেনি বদলাতে মায়ের অবস্থার।
কমিশনের দারস্থ হয়ে বেকার চাওয়া নিরাপত্তা
স্বামীর ঘর ছাড়তে নারাজ ওই বৃদ্ধা
স্বামীর মারে হল যখন পরিস্থিতির অবনতি
রাজ্য মহিলা কমিশন তখন পেয়েছিল অনুমতি।
মুখ খুললেন বৃদ্ধা আটাত্তর বছর পরে
কমিশনের দ্বারস্থ হল অত্যাচারী স্বামীর ব্যাপারে
মার খাবে না আর পড়ে স্বামীর ঘরে
স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায় পেড়িয়ে বছর আটাত্তরে।
কথা না শুনলে স্ত্রীকে ধরে মারে
কমিশনের কাছে বৃদ্ধ স্বামী স্বীকার করে
বৃদ্ধ দিয়েছিল চিকিৎসা বন্ধের হুমকি
তার ধারণায় এইগুলো অত্যাচার নাকি?
শুনলেন বসে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন
পর্দা সরিয়ে করলেন সমাজ দর্শন
দিয়েছিলেন বেসরকারী হাসপাতালে হুমকি
স্ত্রীর ছুটিতে স্বামীর স্বাক্ষর জরুরী নাকি?
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর জঘন্য আচরণ মোটেই নয়
অত্যাচার
বললেন বৃদ্ধ এগুলো ছিলো আগে ঘরোয়া
ব্যাপার
আটাত্তর বছর পর বৃদ্ধা ঘুরে দাঁড়াতেই
স্বাক্ষর করল বৃদ্ধ নতি স্বীকার করেই
মানুষই ঘুরে দাঁড়ায় ঠিক সময়
প্রতিদিন অসহ্য অত্যাচার আজীবন নয়
স্ট্রোকটাই যেন তাকে নবজন্ম দিল
তাই সে রুখে দাঁড়ানোর সাহস পেল।
জীবনটা খুব দামী ভেবেছে মনে
তাই অসম্মান আর নয় প্রতিক্ষণে
এবার সে নিজের মতো বাঁচতে চায়
তাই নিলেন পতিগৃহ ছেড়ে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয়।
ভাগ্যে ছিল তার এই পরিনতি
বৃদ্ধার জবাব সহজ সরল অতি
অপরাধীর যথেষ্ট শাস্তি এটাই মনে হয়
আশিতে স্ত্রীকে ছেড়ে যে একা রয়।