ঘুড়ি উৎসব
মকর সংক্রান্তিতে বন্ধুর অনুরোধে গুজরাতে তাদের বাড়ি গিয়েছিলাম।ঘুড়ি ওড়ানো ওখানের প্রধান উৎসব, নাম ‘উত্তরায়ণ’ দু’দিন ছুটি থাকে। এই উৎসব আদতে সূর্যদেবের আরাধনা। মানুষ ঘুড়িকে প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করে সূর্যদেবতার কাছে নিজেদের প্রার্থনা পৌঁছে দেয়। ঘুড়ি ওড়ানো হয় তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশেও। মকর সংক্রান্তি কৃষিকাজের উৎসব হওয়ায় ওখানে এই উৎসবে প্রধান পুজো পান সূর্যদেব।তাদের ধারণা কৃষিকাজের শক্তি দেন বলেই গোলা ভরে ওঠে ।
বাঙালি সংস্কৃতির মতোই ওখানেও পৌষ মাসের শেষের দিনে পৌষ পার্বণ উৎসব হয়। এই দিন এরাও বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। ওদের বাড়িতেও আসতো দুধ, সুজি, ময়দা ও নতুন চালের গুড়ি। নতুন গুড় আর নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি হতো পিঠে।
সেখানেও সকাল থেকেই চলতো প্রস্তুতিপর্ব আতপ চাল, ফল, আদাকুচি দিয়ে তৈরি মকর। এছাড়া মকর সংক্রান্তি মানেই ঘুড়ি উৎসব।আকাশে উড়তো রং বে রঙের ঘুড়ি।কোন ঘুড়ি কাট গেলে ছেলেদের ভোকাট্টার আওয়াজে কান পাতা দায়।
মকর সংক্রান্তিতে খাওয়া ছাড়াও ঘুড়ি উৎসবে বেশ আনন্দ করেছিলাম। সকাল থেকেই আকাশে ঘুড়ির লড়াই প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিলো ।