গুরুপূর্ণিমা তিথি বহু যুগ ধরে
পালিত হয় লোকের ঘরে ঘরে
বহু বছর আগে
মনে সবার জাগে
প্রশ্ন, গুরুদেব কাকে বলে
মুক্তির পথ চায় সকলে
দেখায় যিনি মুক্তির পথকে
সরিয়ে দেয় চোখের রূপকে
কাজল চোখের রূপাধার
কৃষ্ণাঞ্জন আঁখির অহঙ্কার
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন আসেন এই তিথিতে
সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্বান রূপে তিনি ভূ ভারতে
ব্যাসদেব নামে খ্যাত লিখে মহাভারত
আষাঢ় মাসে পূর্ণিমায় চাঁদ জাগ্রত
এইদিনে চাঁদ ষোলকলায়
বেদব্যাস ভজে মনভেলায়
তাঁর রচিত চতুর্বেদ
জীবাত্মার প্রকারভেদ
বসিয়ে তাঁকে গুরুর আসনে
করলেন পূজা তাঁর একমনে
কান্ডারী রূপে ভব পারাপার
জীবাত্মা দেখা পাবে পরমাত্মার
মুখে মুখে গুরুবাণী করে প্রচার
ধন্য শিষ্য করে গুরুর অহঙ্কার।