প্যালিওলিথিকে তুমি শক্তিরূপিনী
পূজিতা হতে দেবী রূপে—
আমিও তো মহামায়া রূপী মানবী,
তবুও ক্রমাগত সর্বস্ব হারিয়ে,
বিষাদের ভাস্কর্য আমি….!
আঁতুড়ঘরের ম্লান শিখা আমি!
কন্যা সন্তান জন্মদানে আমি হই বিসর্জিতা,
আমার বলীরেখা নীরব অশ্রুজলে ভাসে –
পণের নামে আমি জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ডুবে মরি,
ব্যক্তিগত স্বার্থে ডিভোর্সী আমি, আশ্চর্য এক নারী!
এভিন্যুর মোড়ে, রাজপথে এলেবেলে ভাষায়,
ছিঃ ছিঃ রব তোলে!
আমাকে তোলে কাঠগড়ায়—
রাত গভীর হলে ঠৌঁটে গোল্ড ফ্ল্যাক্স নিয়ে
দালালের খোঁজে প্রতিযোগিতায় নামে,
পৌরাণিক জন্তুরা….
ক্ষ্যাপাটে অন্ধকারে সর্বজনীন বাসর সাজায়
ক্ষুধিত পুরুষের কাছে বিকোয় আত্মা ও শরীর
তাজা ঘামে ভেজে শুধু বিছানা ও বালিশ
চূড়ান্ত অপমৃত্যু। থেঁতলানো মেরামত-অযোগ্য এ শরীর…
ভরন্ত যৌবনের ক্যানভাসে
হঠাৎ লাল রং যায় মুছে !
হাড়গিলে কুকুরের ঝাঁক হিতৈষী সেজে
আমার সাদা থান লালসার আগুনে পোড়াতে চায়,
ভিড় বাসে ঘিনঘিনে দৃষ্টিতে দেখে উলঙ্গ ষাঁড়েরা
সুযোগ পেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলাৎকারে মাতবে –
আমার সতীর্থ আড় চোখে,
শাড়ির ভাঁজে জরিপে থাকে মত্ত,
বিমূঢ় লজ্জায় আমি বুঝেও চুপ থাকি,
লজ্জা ঢাকতে ব্যস্ত….
হৃদয়ে হাজার ক্ষত, সর্বাঙ্গে শোক,
শতছিন্ন শরীরে দাহন,আমাকে বাঁচতে দাও
আমার সত্তা আর কতো হবে চৌচির চুরমার?
কবে হবো স্বাধীন আমি!!
এবার ড্রপসীন পড়ুক,
কড়ায় ক্রান্তিতে হিসেব বুঝে নিতে দাও,
ফিরিয়ে দাও আমার যাবতীয় ঋণ…..