খালপার বস্তীতে ছেঁড়া চট গায়ে জড়ানো,
উসখখুসকো চুলের জটায় উকুন ছড়ানো
আধা নেংটো খড়ি ওঠা চামড়ার জীবন্ত ফসিল
দিনভর আবোল-তাবোল..
শুধু সর্বনাশের সাতকাহনে ব্যাস্ত,
জড় মৌনী তাপসীর শূন্য দুটি চোখ
কী এক ক্লিষ্ট ধ্যানে মগ্ন!
তোবড়ানো এলুমিনিয়ামের বাটিতে
উচ্ছিষ্ট খাবারের কণা ঘৃণার আয়োজন শুধু-
কিশোর বুকের আগুনের জ্বালা যেন,
পরোয়ানা আগামী যুদ্ধের
এক টুকরো মানবিক কাপড়ের প্রাণের পতাকা তলে
এ যেন ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ঈশ্বর অসম যুদ্ধে লিপ্ত,
অথচ,
কোন একসময় অথৈ শূন্যতার মাঝেও
বিবর্ণ জীবনে দিন ছিল নিষ্কলুষ চাদরে জড়ানো;
ঘুম ভাঙতো সূর্যের তেরচা চাদর সরিয়ে
জীবিকার তাড়নায় কাচা কাপড়ে
শহরতলীর বাড়ি বাড়ি ছুটতো;
এক কালবৈশাখী ঝড়ে সব ওলোটপালট,
ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত পোশাকের কাফনে মোড়া
দাঁতে ছেঁড়া জীবিত মাংসপিণ্ড
নৃশংসতা বুকে নিয়ে জীবিত-
গর্ভ শুধু সাক্ষী আদিম ভোরের
সাক্ষী রাতের তারারা ;
জীবনযুদ্ধে আজও যখন যখন পঙ্গপালের দল
ভীত হরিণীকে তাড়া করে,
মহা তাণ্ডবে প্রতিহত করে সে কিশোর রুদ্র।