Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » কেউ নিরাপদ নয় || Rana Chatterjee

কেউ নিরাপদ নয় || Rana Chatterjee

কেউ নিরাপদ নয়

অতি কামুকতা এমন জঘন্য পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিরাপদ কে এই প্রশ্নটা নিজেদেরকেই যেন বিদ্রুপ করছে। টিভি, নিউজ পেপার- মিডিয়া খুললেই ধর্ষণ ,খুন প্রমাণ লোপাটের কালো ঝঞ্ঝা মিছিল।

শিশুকন্যা একটু বেড়ে কিশোরী বা যুবতী হলে মা-বাবাসহ বাড়ির লোকেদের চিন্তা বাড়তো এটা হওয়া স্বাভাবিকও। আজকাল আধুনিকতার ঝকঝকে প্রলেপে সবাই যেন বেশি এডভান্স,বেশি অধৈর্য্য,বেশি স্মার্ট । দিনকাল অবশ্য আগেও ভালো ছিল না ,তবু যেন কোথাও সংযম,এটা করা অপরাধ হবে এই ভাবনা অন্তত কিছুটা হলেও বিবেকে থাবা মারতো। অতিকামুকতা ছিল না তা নয়,ছিল কোপও মারতো নিঃশব্দে এখনো মারে কিন্তু এমন খুল্লামখুল্লা দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে যা ঘটছে দেখছি তাতে লজ্জা ঘেন্নায় কলুষিত হচ্ছে মন।ভাবতে কষ্ট হচ্ছে এই কিনা উৎকৃষ্ট জীব হবার একের পর এক নমুনা! এমন কি আজ দুধের শিশু কন্যাটিও নিরাপদ নয় পড়শী দাদার কাছে,বাড়ির দেখভাল করা বিশ্বস্ত মানুষটির কাছে। স্কুল বাস কন্ডাক্টর কাকু ,গৃহ শিক্ষক, স্কুল শিক্ষক ,ডাক্তারবাবু সবার মধ্যে কোথায় যেন অতিকামুকতা, মুখোশ পড়ে ছুঁক ছুঁক করছে শিকারের অপেক্ষায়।

গত দুই সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশের কোন মফস্বল শহরে কিছু টাকা ধার দিয়ে ফেরৎ পেতে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শিক্ষা দিতে তাদের মাত্র তিন বছরের শিশু কন্যা টুইঙ্কেলকে নির্মমভাবে চোখ,ফুসফুস নিম্নাঙ্গ খুঁচিয়ে তছনছ করে চামড়া চেঁছে যেভাবে মেরে ফেলে দিয়ে যাওয়া হলো, তারপর ও দেশ জুড়ে প্রায় হাফ ডজন শিশু ধর্ষণের খবর এসেছে,এসেই চলছে খবরের স্রোতে।

আজ অফিস এসে একটা বীভৎস খবরের নোটিফিকেশন পেয়ে নিজেকে বিহ্বল লাগছিলো। নিজেকেই প্রশ্ন করে ফেললাম আমরা সত্যি নিরাপদ তো? বাড়ির পোষ্য আদরের কুকুরটিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না মালকিন ,আর উদ্বিগ্ন হচ্ছিলেন কোথাও চলে গেল কিনা এই ভেবে। নিখোঁজ ডায়েরি করার কথা ভাবতে ভাবতেই সারমেয়র খোঁজ করতে নেমে আজ দুদিন পর চোখের জল বাঁধ মানছে না ওনার ,ইস কি বীভৎসতা! খুঁজে পেলেন প্রতিবেশী দীনেশ কুমারের বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় আদরের পোষ্য কে। নিম্নাঙ্গ রক্তে ভেসে যাচ্ছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে কি নারকীয় অত্যাচার করা হয়েছে কুকুরটির ছোট্ট শরীর নিয়ে সারা রাত ধরে সঙ্গে সারমেয়র সারা শরীর জুড়ে আঘাতের গভীর ক্ষত চিন্হ।

কেবল একা নয় দীনেশ,সতীশ,অশোক এই অতি কামুক তিন বন্ধু অত্যাচার,ধর্ষণ করে গেছে বাচ্চা কুকুরটিকে এক নাগাড়ে। হায়রে সৃষ্টি কর্তা কোথায় টেনে নামাচ্ছে তোমার সৃষ্টিরা নিজেদের! মেডিকেল টেস্টে ধর্ষণের প্রমান পেয়ে পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছে তিন জন কিন্তু তাতে কি! এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিচার আর ওদিকে ছোট্ট আদরের কুকুরটি মরলো কি বাঁচল বয়েই গেল,আর মানুষ হলে না হয় হত মানব শৃঙ্খল বেঁধে মোমবাতি শ্রদ্ধা কিন্তু তাতে অতি কামুকদের বয়েই গেল!শুনলাম তিন ধর্ষক সরি বলেছে,নেশা করে নাকি ভুল করে ফেলেছে ওরা-কি দারুন হাস্যকর স্বীকারোক্তি তাই না! আবার এই এলো বুঝি শহরের কোনো প্রান্ত থেকে আবার ধর্ষণের ভিন্নতর ভয়াবহতার খবর।

সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ আশেপাশে ঘুর ঘুর করা এমন জঘন্য অতিকামুকদের , ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিন,চরম তম শাস্তি দিক প্রশাসন নৈলে কেউ নিরাপদ নই আর এ আক্ষেপ, এসব ভাবনা শিহরণ জাগিয়ে নিজেদেরকেই তাড়া করে বেড়াবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Powered by WordPress