এক যে ছিল কৃপণ বুড়ো বলবো তারই গল্প
খাওয়া দাওয়ার বহর ছিল পরিমাণে অল্প ।
বাজার যেত দুপুরবেলা সস্তা দামে সবজি
কিনতো নিজের মনের মতো ডুবিয়ে খেত কব্জি ।
দীর্ঘক্ষণ দরকষাকষি সকাল থেকে সাঁঝ
বলতো গিন্নী ‘জমিয়ে রাঁধো এনেছি টাটকা মাছ’ ।
“টাটকা নয়তো বাসি পচা” গিন্নী বলতো হেঁকে…..
কড়ায় কেমন জড়িয়ে যাচ্ছে উঠছে না তো বেঁকে”।
“গিন্নী তুমি মাছ চেনো না মিথ্যে বড়াই করো
সস্তা পেলাম তরমুজটা তাড়াতাড়ি ধরো ।”
সন্ধ্যারাতেই নিভতো বাতি পুড়ত কারেন্ট কম
ভোরের বেলা সমস্ত কাজ অদম্যতার দম ।
গোবর চুরি কৃপণ বুড়োর ছিল প্রধান কর্ম
টাকার লোভে নষ্ট তাঁতী বিস্মৃত নিজ ধর্ম ।
গ্রামের মানুষ বলতো পিছে কিপটে বুড়ো যায়
গজগজিয়ে গিন্নী ঘরে কপালটা চাপড়ায় !
কৃপণ বুড়োর সুন্দরী মেয়ে হয়েছিল রাজরানী
শেষ জীবনে কিপটে বুড়োর কি হল না জানি !
অবশেষে একটা কথা মাথায় রেখো তবে
স্বাস্থ্যবান চাইলে হতে টাটকা খেতে হবে ।।