পরিব্রাজক নই , সাদামাটা রেটিনার ঋণক্ষেতে
নিতান্তই সাধারণ পদাতিক আমি ।
তবুও শব্দযানে সুদূর ভীড়ের দ্বীপ থেকে
নির্জন নাজুক লিডার ঢেউ এ
আনন্দের ঘ্রাণ নিতে আসি ।
কত কত ক্ষমতার সুদীর্ঘ ধর্মহাত
ঝরে গেছে ঝিলমের বনে ।
সব দুঃখ অভিমান , রগরগে রাগ আর
পরপর চুক্তির সহবাসে কষ্টের কারাগার ভুলে
প্রকৃতির পাখা ওড়ে জজিলার গিরিপথে ,
সোনমার্গ সোনাঘাসে , ফুটিফুটি টিউলিপ মনে ,
উঠি উঠি চেরীর উঠোনে ,
হেরিটেজ হিরণ্ময় চিনার নয়ানে ।
সভ্যতার হিমযুগ স্থবিরতা ঠেলে
থাজিবাস হিমবাহ বরফের নদী রোমে হাঁটে ।
শতাব্দীর কনভয় ভয় মাঝে মাঝে
নির্মিত সন্ত্রাস জয়ে ভাসে আর ডোবে ।
অমরনাথের তীর্থতরী বেয়ে শঙ্করাচার্যের চাকা
হজরতবালের হ্রদে আজানের জ্যেৎস্নায়
কার্তিকের চাঁদ হয়ে ফোটে ।
বিভেদের বাধা জ্বেলে মানুষের নক্ষত্র আজও
মমতার মোম কাঁধে অতিথির দ্বারে দ্বারে জ্বলে ।