অন্যায় দেখলে হাতিয়ার যে ওঠে কবির হাতে
অসহায়ের নিপীড়নে প্রতিবাদের সাথে,
আগুন ঝরা তীক্ষ্ণ বাক্য কলম হতে ঝরে
অচেতনে হুঁশ ফেরাতে দৃঢ় কঠিন স্বরে।
ন্যায় বিচারে বজ্রকঠোর দৃপ্ত ভাষায় লিখে
বহ্নিশিখার মতন তাহা ছড়ায় দিকে দিকে,
শাসক হৃদয় শঙ্কিত হয় হাতিয়ারের ঘায়ে
কূটনীতিতে করতে ঘায়েল চলে মার্জার পায়ে।
যায়না তবু দমানো যে কবির নিপুণ অস্ত্রে
মানবতার পাঠ শেখাতে শব্দব্রহ্মের শস্ত্রে,
ধনী গরিব ভেদাভেদের ভাঙে পাঁচিল খানি
দ্বেষ বিদ্বেষে ধ্বংসে আনে চেতনাতে পানি।
হাতিয়ার টা আছে বলেই সুশীল সমাজ তরে
মানবতার জয়গানেতে কবি কলম ধরে,
একতা আর সাম্যে চলার দেখায় কবি দিশা
আলোর রথে চড়তে শেখায় কেটে তমা নিশা।
সূর্যদীপ্ত হাতিয়ারে ফুঁসে রুদ্র রোষে
বিবেক বোধের জাগরণে নাশে সকল দোষে,
ভালোমন্দ সৎ অসতের তথ্য রাখে লিখে
কবির দিশায় প্রজন্ম যে নেবে সকল শিখে।