Skip to content

Banglasahitya.net

Horizontal Ticker
বাঙালির গ্রন্থাগারে আপনাদের সকলকে জানাই স্বাগত
"আসুন শুরু করি সবাই মিলে একসাথে লেখা, যাতে সবার মনের মাঝে একটা নতুন দাগ কেটে যায় আজকের বাংলা"
কোনো লেখক বা লেখিকা যদি তাদের লেখা কোন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের এই ওয়েবসাইট-এ আপলোড করতে চান তাহলে আমাদের মেইল করুন - banglasahitya10@gmail.com or, contact@banglasahitya.net অথবা সরাসরি আপনার লেখা আপলোড করার জন্য ওয়েবসাইটের "যোগাযোগ" পেজ টি ওপেন করুন।
Home » ওয়াটার বেয়ার || Suchandra Basu

ওয়াটার বেয়ার || Suchandra Basu

পৃথিবী পাঠিয়েছে আটপায়ের জীব চাঁদে
প্রচন্ড বিস্ফোরণে পড়েছে তারা বিপদে।
যান্ত্রিক গোলযোগে ‘বেরোশিট’ ভেঙে চুরমার
অণুবীক্ষণিক প্রাণীর ডাকনাম ‘ওয়াটার বেয়ার’।
দৈর্ঘ্য তাদের এক মিলিমিটারেরও কম
‘টারডিগ্রেড’ তাদের সুন্দর পোশাকি নাম।
বিশেষ প্রকোষ্ঠে মহাকাশযানটি ছিল ইজরায়েলি
বিশ্বকোষ সমৃদ্ধ প্রকোষ্ঠে “লুনার লাইব্রেরি”।
ন্যানো প্রযুক্তিতে ঢুকতে হয় চান্দ্রগ্রন্থাগারে
দেখতে এইটা সাধারণ ডিভিডি র আকারে।
এতে ছিল একাধিক মানুষের ডিএন এ
বিশেষ প্রকোষ্ঠ তৈরী এক কৃত্রিম রজনে।
বিশেষ প্রকোষ্ঠে জলবিহীন অবস্থায় শুকিয়ে
তাদের রাখা হয়েছিল গভীর ঘুম পাড়িয়ে।
মৃত্যু নয় এই ঘুম মানে
নির্দ্দিষ্ট তাপমাত্রায় বাঁচাতে জানে।
“এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা”ছায়াপথের
জ্ঞানভান্ডার
নেপথ্যে “আর্ক মিশন ফাউন্ডেশন”সমগ্র
ভাবনার।
ঘুমন্ত জলভালুকেরা রয়েছে প্রকোষ্ঠে নিষ্ক্রিয়
জল বাতাস খাবার পেলে হবে সক্রিয়।
“মারিয়ানা ট্রেঞ্চ”পৃথিবীর গভীরতম সমুদ্রখাত
ভয়ঙ্কর চাপ সৃষ্টি এই খাতের ধাত।
মহাশূন্যের অবস্থা যতই হোক চাপশূন্য
নাশ কার্যত বিফলে তাপচাপ যদিও লক্ষ্য।
শুকনো ভুষির মতো দশকের পর দশক ধরে
দীর্ঘদিন বাঁচা অসম্ভব চরম তাপমাত্রায় একেবারে।
আমেরিকার বিশেষজ্ঞ উইলিয়াম মিলার প্রকাশ
করে
টারডিগ্রেড চন্দ্রপৃষ্ঠের চাপশূন্য অবস্থা সামলাতে
পারে।
মতামত রাখেন নাসার বিজ্ঞানী কাসি কনলি
ঠিক তাদের আয়ু ধরে রাখে যান ইজরায়েলি।
তবুও চন্দ্রপৃষ্টের পরিস্থিতি ও তাপমাত্রার উপরে
অবশ্যই জলভল্লুকের বাঁচার আয়ু নির্ভর করে।
জলের আভাস দিয়ে চাঁদের গভীরে যান এক
তলিয়ে সেই তিমিরে যান দুই রহস্য উদঘাটক
পরীক্ষা নীরিক্ষায় ভীষণ কড়া আট পা জান
চরম চাপ তাপেও বিনাশ হয় না তাদের প্রাণ।
জলের ছোঁয়ায় জাগতে পারে টারডিগ্রেড বংশ
পৃথিবীর বুক ছোঁবে না তার কোনো অংশ।
নাসার মহাকাশচারীরা আর্টেমিস যান চড়ে
২০২৪সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে বংশধর দেখতে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *