বল স্বাধীনতা, আর কবে স্বাবলম্বী হবো ?
পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে এসে কেন দেখতে হবে –
আজও দেবশিশুরা করছে কঠিন শ্রম ?
কেন ,পড়া,খেলা শিখেয় তুলে হচ্ছে বিপথে – মতিভ্রম ?
কুৎসিত দুনিয়া কবে সুশ্রী হবে ? কবে দেখবো –
” হাসতে হাসতে খেলতে খেলতে বেড়ে উঠছে সমস্তবালক “,স্বস্থির শ্বাস নিয়ে কেন বলতে পারি না এরাই ভবিষ্যতের চালক?
ভোরের হাওয়া মেখে ,বার্ধক্যের সুখের ছবি দেখে –
ভরা পেটে ,বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ,কবে বলবে হেঁকে
মহান আমার ভারত ,
আর যেন রচিত না হয় দুঃখের মহাভারত ।
পরাধীন ভারতের শিশুরা আজও কাঁদে –
অনাহারে,গ্রামে গঞ্জে শহরের রাজপথে ।একই ফাঁদে –
বুক চাপা কান্না আর অতৃপ্ত আত্মায় ,
সুখের শৈশব বিলিয়ে দেয় শিশুশ্রম সস্তায় ।
দিনান্তের ক্লান্ত পথে ফিরিয়ে দেয় সংসারের হাসি ,
দিবসে হেথায় কত কোলাহল ,কত সুখ রাশি ,রাশি ,
কত অসুখী,অবিভাবকহীন জড়ায় অন্ধকারের ফাঁসি ,
সূর্যহীন দেবাশীষ কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে হয়ে যাবে বাসি ?
ইউনিসেফ দিয়েছে বার্তা ,এ পোড়া দেশের ভিত্তি –
প্রতি এগারো জনের এক শিশু করে মজুরবৃত্তি ।
এ ব্যর্থতা কার ? আমার, তোমার ,
কিছুই করা হয়নি ,এ দায় যে আমাদের সবার ।
বিলাসে ,আরামে ,দাম্ভিকতায় দিয়েছি কত অর্থ ,
মুখের ফাঁকা আওয়াজ,বড় বড় বুলি,আজ সব ব্যর্থ।
শিক্ষার দম্ভ কই দেখি এস হাসি ফেরাও একটি শিশুর
কোলে তুলে নাও , ভালোবাসার আলো জ্বালাও-
পথের যত নান্টু ,জগা, বিশুর ।