অনেক হয়েছে নাও নাও খেলা
এবার ভাসাও দাও দাও ভেলা ।
নইলে রবে না ,এক সাথে সবে
থাকবে না আর ভাই চারা ভবে ।
হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খৃষ্ট,শিখ ,মুসলিম
কবে ছিল দেশে আলাদা আলাদা ভিত ?
কোথা হতে এল দেশে এ হেন দালাল
করে লন্ড ভন্ড দেশ রসাতল ।
রাজা, আমি আমি করি আঁধারে চলিল
রীপুর অনলে দেশেরে দহিল।
কবে হবে শেষ ‘আমি’ র এই খেলা
রাজা করে , মাতৃভূমি রে অবহেলা।
রসাতলে গেল পবিত্র ধরনী,
হয়ে গেল সে যে পাপের ঘরনী।
থরে থরে দেখি রাজার আভুষণ
ঘরেতে বাড়ন্ত রান্নার আগুন ।
শিশু কয় কেঁদে ,মা গো, কোথা পায় রাজা খাবার ?
মা বলে, ও যে রাজা, আমরা যে প্রজা রাজার ।
শিশু বলে, নেই কো খাবার তুমি যে বল ?
আমার ও যে খিদে পায়, কেন এ নিয়ম হল ?
বড় হয়ে আমি রাজা হব মা গো
কেন প্রজা শুধুই স’বে নিপীড়ন ।
সকলে মিলে একসাথে খাব
হাঃ অন্ন হাঃ অন্ন উঠবে না রব ।
মায়ের চোখে তে জলের ধারা
বুকে চেপে ধরে শিশুরে তাহার।
বলে , রাজা হবি তুই বাছা।দীন দুখীর রাজা,
,উঁচ নিচ ভেদ রবে না ,চোরেরে দিবি সাজা।
অবুঝ শিশু খিদে তে মায়েরে জড়ায়ে বলে
‘মা গো তোমার ও তো খিদে পায় ?
খিদের কথা বলবো না আর কোন দিন ‘,
আঁখি জল মুছে দেখে সূর্যের আলো ভরা উঠোন।