কবি তুমি ‘বিদ্রোহী’ মিছেই করলে রচনা
তোমার কবিতা পাঠ করেও এই জাতির
গোলামীটা এখনও ঘুচলো না।
তোমার কলমে আগুন জ্বালিয়ে
ভাঙতে চেয়েছিলে পরাধীনতার শিকল
অথচ দেখ আজও সেই যেমনটি ছিল
রয়ে গেলো তারা তেমনি অবিকল!
এসেছিলে তুমি হয়ে চেতনার ধূমকেতু!
বাঁশের বাঁশরী , রণ- তুর্জেতে
গড়তে চেয়েছিলে মহাসেতু
হায়ারে তোমার অচেতন জাতি
যদিও কেউবা রন-তুর্জ নিলো
নিলো না তোমার বাঁশরী!
যে জাতি মেনেছে পলাশীকে
নিয়াছে মেখে মুখে চুনকালি
কোথায় তাঁদের মান – মর্যাদা
দিয়াছে সব জলাঞ্জলি।
কে পরে আর তোমার কবিতা,
স্বপ্ন দেখে যা অলীক সবটা।
একদল আছে যারা প্রগতিবাদী
অনুসরণ আর তোষামোদ করে
মাথা নত করে রাজার আইনে
বুলিতে পোষাকে প্রতিষ্ঠার ছাপ
দেখে শুধু তারা আপনাকে !
কিছু আছে যারা লুট করে খায়
কাটমানি আর অনুদানকে।
তুমি যাদেরে বিদ্রোহ শেখালে
ভেবেছিলে তারা ভুলবে না তোমায়
খাবে তারা বসে গাধার পালে ।
প্রিয় কবি আজ তুমি ফিরে এসো
তবুও তুমি দেখ আর শোনো
দুর্নীতি , অনন্যায় , অজ্ঞানতা
কমেনিকো একটুও এখনো!
ফিরিঙ্গিরা তো কবেই ছেড়েছে এই মাটি,
আমরা কিন্ত ছাড়িনি তাঁদের
আজোও তাঁদের ই পদচুমি।
প্রতীক শুধু হোলো বিনিময়
পেয়ে যাওয়া স্বাধীন পতাকায়!
দোষ আর কাকে দেবো বলো কবি
আমরা নিজরাই তো নিজদের ভবি ।
নেতার তদের শপথের বেদিতে হইছে বলি
উন্নতি আর সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
ঘোরে তারা হাতে নিয়ে ভিক্ষার ঝুলি।
ফিরে এসো প্রিয় বিদ্রোহী কবি
জাগাও বিদ্রোহ শেখাও আবার
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ধ্বংস আনবো
শয়তানী রাজনীতিকে করে সাবাড়।