একেকটা দিন
জীবন চিনতে শেখানোর জন্য জন্ম নেয়
একেকটা দিন শোক ভুলবার জন্য মারা যায়
আমরা বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে
এতো ক্লান্ত যে
নিজের ভেতরের রঙ মহলগুলো
ঘুরে দেখা হয়নি কখনো
সেখানে
হাসি আর সুরের গুপ্ত ঘরে
তাদের নিত্য জলসা বসে
দুঃখ অভিমানের দরজায়
একটা পাহাড় লাঠি হাতে পাহাড়ায় থাকে
সেখানে আলোর স্রোতের প্রবেশে নিষেধ
অন্য ঘরে মায়া মেঘ-দল যখন
জোরে জোরে আবৃত্তি শোনায়
সব মন মরা প্রজাপতিরা
কলিজা ঘিরে হাততালি দেয়
যে ঘরে ক্ষমার বাস
সে ঘরের পুকুরে সবসময়
আলোর পদ্ম ফুটে থাকে
রঙিন মাছেরা
কিলবিল করে ওড়ে
ধৈর্য্যের ঘর জুড়ে
প্রতি দরজায় আল্পনা দিতে দিতে
আমার দিন রাত ফুরিয়ে যায়
অথচ
এই দরজা গুলোই আমার সাঁকো
এক আমি থেকে আসল আমিতে পৌঁছনোর
যা নতুন দুনিয়ার ঠিকানা রেখে দেয়
এক থার্মোমিটার জ্বরে
বুঝতে পারি
পৃথিবী ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে
কপালে মেলে দেয় বৃষ্টির শাড়ি