তুমি আর ভালো থাকবে না…
হুতুমের মাঠ পেরিয়ে আমি চলে গেলে-
যেমন থাকেনি চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো
বুড়ো বটগাছ..! কাটা পড়েছে তার ডালপালা।
নাগরিক জীবনের অসহায়ত্বে..
রক্ত ঝরে সাবানের মতো গলে গলে!!
যেদিক থেকেই ছুটে আসুক বৃষ্টিরা,
তোমাকে ছাড়িয়ে তোমার প্রতীক্ষা-
পাশ কাটিয়ে আমাকে চলে যেতে দেখবে,
কাজল ছুঁয়ে কালো জলে ভিজবে,
ডুবে যাবে দারুণ জ্বালার আগুনে।
বুকে যেদিন টেনে নিলে আমাকে-
মগ্ন আকাশের তারার মাঝে গভীরে;
ছায়ার মোহে তিক্ত কাম ওঠে জেগে।
বোদলেয়ারের মাতাল হাওয়ায়…
শ্রান্ত হৃদয় ছিটকে সরে গেলে,
অন্ধকারে আমার ঘ্রাণ হাঁফ ধরাবে তোমাকে।
জানালার লেস দেয়া শার্টিন পর্দা,
হাওয়ায় রঙিন প্রজাপতির মতো যখন উড়বে-
ধূলি ধূসর পাতার ফাঁকে ফাঁকে,
হলুদ ছোপ ছায়া মেলবে…..
চোখ পড়বে বাগানে পরিত্যক্ত কবরে,
খোঁপায় গোঁজা গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ,
হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপবে।।
কোন একদিন হঠাৎ ডোর বেল বেজে উঠলে,
ঝনঝন শব্দে তোমার ধমনীতে..
অনাবৃত লিপ্সার তুফান উঠবে,
ছুটে যাবে কাঁচের উপর দিয়ে খালি পায়ে ;
শূন্য করিডোরে হাওয়ার হাহাকার শুধু থাকবে,
ক্যানারী পাখির তীক্ষ্ম শিষ ভেসে বেড়াবে।
হিসসা দিতে দিতে ক্লান্ত পা দুখানা টলতে থাকে,
মস্ত ভারী এক পাথর প্রবাহকে রুদ্ধ করে-
নীরব হয় সমস্ত কথারা স্তব্ধ নিঝুম আঁধারে,
শূন্য খাঁচা দোল খায় শূন্যপুরীর উঠোনে।
…..অতঃপর,
চলে যাওয়া মানুষটির জন্য তীব্র চীৎকার জেগে উঠবে।
কিন্তু কেন..! কেন এমন হয়…! বলতে পারো..!!