কখন হানবি আঘাত ওই অন্যায় মুখ পরে ?
সমাজের ঋণ মেটাবি কবে ? দুহিতা দগ্ধ মরে !
ওড়াবি কবে জয়ধ্বজা অভ্রভেদী উড়ান ?
গাইবি কবে সহিষ্ণুতা সৌহার্দ্যের গান ?
প্রাত্যহিকের প্রতারণা , মিথ্যের আলসেমি ?
পিঠে ভাগেই ঠকবি তোরা উৎসুক কালনেমি !
ভুলিস কেন ? মায়ের স্নেহ কষ্টের দিনপাত !
পরিশ্রমী পিতার হাসিতে ছোট্ট ভুবন মাত !
মায়ের আবেশে দেবোপম সুখ পিতার আশীষে খুশি
সব ভুলে যাই দশক পরে বৃদ্ধাশ্রমে ঠুসি !
মেটাবি কবে মায়ের ঋণ আর বাবার ভালোবাসা ?
পুরবি কবে মায়ের ইচ্ছা বাবার মনের আশা ?
আদরবাসা বুনবি কবে ? প্রত্যয়ে সুখ দিন ?
উচ্ছ্বাস মেখে নির্ভীক হয়ে বাজাবি কখন বীন ?
তৃপ্তির শ্বাস বুক ভ’রে নিস প্রকৃতির বুক থেকে
এখানেও ঋণী তবুও আগুন আমাজনের বুকে !
আদিনাথের আজ্ঞাপনে হৃদয়ে ধুকপুক
ভ্রষ্টাচারের আদর্শে আজ কালিমালিপ্ত মুখ !
অক্সিজেন আর খোরাক জোগানো কাঞ্চন কান্তার
ঋণ ভুলে গিয়ে অকাতরে করি বৃক্ষের সংহার !
গুরুজন যত শিক্ষার গুরু শ্রদ্ধায় প্রণিপাত
ফসিলের ফলে যত কিছু ভুলে গায়ে তুলে দিই হাত !
উপকারী যারা সকলের কাছে হয়ে থাকি সবে ঋণী
কিছুদিন পরে ভুলের বেঘোরে “তোমাকে আমি কি চিনি” ?
পাপের ঘড়া পূর্ণ আজিকে “ঋণ” শব্দের লজ্জা
তপস্বিনী প্রকৃতি মায়ের বাধ্যের শরশয্যা !