একটা গোলাপ বাগানে চাঁদের আলোয় মধ্যরাতে
শুয়েছিল আকুল মূর্ধজা, নীল শাড়ি আলুলায়িতা এক কুমারী
তার দুঃখের গল্পটি কেউ জানে না, সেই ভুলুণ্ঠিতার
চোখের জলে ভিজেছিল মাটি
বৃষ্টি নেই অনেক দিন, সে আকাশের মতন কেঁদেছিল
গাছেরা সবসময় তৃষ্ণার্ত থাকে, কিন্তু অনেকেই জানে না
পিঁপড়েরা নারী-অশ্রু বড় ভালোবাসে
তুষারপাতের মতন জ্যোৎস্নায় নিঃশব্দে ছুটে আসে পিঁপড়েরা
কোন অজানা দূর দেশ থেকে
চোখের নিমেষে তারা চেটে নেয় সবটুকু চোখের জল
সেই রাত্রিটি যেন কল্পান্ত, ভোরের বাতাসে ওড়ে
অজস্র রেশমি নীল রুমাল
সংগীতের মতন প্রথম আলো এসে জাগায় ফুলগুলিকে
পিঁপড়েদের জগতে ঘণ্টা বাজে, রানি পিঁপড়ের কোল জুড়ে
আসে এক মানুষীর অশ্রুজাত সন্তান
এসব কথা তো সবাই জানে, দিন কাটে, নববর্ষায় এলোমেলো বাতাস
ফিসফিস করে বলে এক গুপ্ত কাহিনী
আয়নার সামনে চুল খোলা কোনও ব্যর্থ প্রণয়িনী দাঁড়ালেই
শুনতে পায়
গোলাপের গন্ধ মাখা এক সদ্য শিশুর কান্না