‘ইশ! ই-শ! এ-ই, আ-হ্ এইখানে, প্রিয়! এইখানে রাখো
জিভদেব! আ-হ্! ম’রে যাচ্ছি! চোষো, একটুকু ধীরে,
আহ! ডান চাঁদে ঠোঁট রেখে চিরকাল থাকো,
পান করো, খাও, গেলো, শুষে নাও, ভেঙে, ফেড়ে, ছিঁড়ে।’
‘ইশ! ই-শ! এ-ই আ-হ্ এইখানে, প্রিয়!’
‘আমার মুঠোতে দাও রাজদণ্ড! দাও! ধরি! বন্য দেবতা
এতো দৃঢ়! পেশল! শক্তিমান! উচ্চশির! দাও তারে মুখগহ্বরে!
কী প্রচণ্ড! আ-হ! কণ্ঠের ভেতরে শুনি পৌরাণিক অপরূপ কথা,
দম বন্ধ হয়ে আসে! ভেঙে পড়ছি আশ্বিনের ঝড়ে!’
‘ইশ! ই-শ! এ-ই আ-হ্ এইখানে, প্রিয়!’
‘ইশ! ই-শ! এ-ই আ-হ এইখানে, শিউলি বোঁটায়
রাখো ব্যাঘ্ৰজিভ, কমলোষ্ঠে, চোষো, ভাঙো! ঘন মধু ঝরে,
আহ! মধু খাও, প্রিয়! ম’-রে যাচ্ছি! ফোঁটায় ফোঁটায়
ঝ’রে যাচ্ছি, ঢোকো, মধুময় চাকের ভেতরে।’
‘ই-শ! ই-শ! এ-ই, আ-হুঁ এইখানে, প্রিয়!’
‘ঢো-কো! আ-রো! গভীর পাতালে! ই-শ! বিদ্ধ, খনন করো,
আহ্! কে ঢুকছে? পশুদেব? কবিতা? ধীরে ধীরে ধীরে,
এ-ই-বা-র দ্রু-ত, প্রিয়, ম’রে যাচ্ছি, ঢোকো, দুই হাতে ধরো,
ভেঙে যা-চ্ছি ম’-রে যাচ্ছি, গ’লে যাচ্ছি মৃত্যুর গভীরে!
‘ই-শ! ইশ! এ-ই, আ-হ এইখানে, প্রিয়!’