ইয়াস
২৩মে২০২১ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আম্ফানের ক্ষত তখনও শুকায়নি।বিশ্ব ব্যাপী অতিমারীর কারণে অর্থনৈতিক ধ্বস। অসহায় মানুষ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।সরকারিবেসরকারী খাদ্যবন্টন, মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার মাঝে ইয়াসের কথা গণমাধ্যমে প্রচার। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয় মানুষদের সজাগ করা হচ্ছে। বিশেষ করে দীঘার কাছ থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হলো।সমস্ত এলাকা প্রশাসনের লোকজন ঘিরে রয়েছে। ২৩তারিখে নিউজ বুলেটিনে সতর্ক করা হচ্ছে। শুনসান দীঘা।প্রবল ঢেউ আছড়ে পড়ছে।যেন সহস্র রাক্ষসী পৃথিবী কে গ্রাস করতে এসেছে। অসুর আর দেবতাদের যুদ্ধ সমুদ্র মন্থন করবে কে? ঝোড়ো হাওয়া আছড়ে পড়ে প্রকৃতিকে অমানবিক হবে আক্রমণে উদ্যত।আজ রক্তবীজেরা মানব সন্তানদের নিয়ে যেতে চলেছে রসাতলে। সমুদ্রের তলদেশে দেবতাদের রাজপ্রাসাদ চুরমার করে শত শত অসুবিধা তাদের অস্ত্রের আঘাত জলোচ্ছ্বাস ঘটাচ্ছে । চারিদিকে গণমাধ্যমের ছেলেমেয়েরা ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন আমি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টারের গাড়ি চোখের সামনে এক নিমেষে জলের তলায় চলে গেল। সমস্ত দোকানপাট _বাড়ি হোটেলএর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে খান খান করে চলে গেল। এই যুদ্ধে বিদ্যুৎ তরবারীর রেখা ঝনঝনিয়ে উঠলো। আজকাল তরুণ রিপোর্টারদের খবর পরিবেশন অস্বাভাবিক । চিৎকার করে আরও জলের দিকে নিজেদের প্রসারিত করে কিংবা এক বুক জলে দাঁড়িয়ে খবর পরিবেশন করার স্পৃহা বড় অদ্ভুত। সরকারি সাহায্য থাকলেও পরেরদিন ঝড়ের দাপট কমলে প্রত্যেকে তার উড়ে যাওয়া বা রয়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে খুঁজে চলেছে তিল তিল করে সঞ্চয়ে রাখা জিনিসপত্র । এমন কিছু বাড়ি যেগুলোর কোন আর অস্তিত্বই নেই। উপকূলের এই পর্যটন কেন্দ্রের সাজানো সব কিছু ভেঙে তোলপাড়।_রবিন কাকা ছুটে এসেছিল তার নিজের বাড়িটা খুঁজতে। আবার নতুন করে বাচাঁর তাগিদ।