ডাক্তার মোক্তার, কাকে আগে দরকার
মামলা ঠুকেছে ওই বদ হিরু সরকার।
মামলার নাম শুনে টেনশনে পেট গেল
ডাক্তার দেখিয়ে তা করতে হবে’তো ভাল ।
এ কেমন খেল তুই দেখালি রে ভগা বাবু
মামলা ও পেট নিয়ে একসাথে আমি কাবু।
একসাথে দুজনকে কি করে যে করি মিট
জানিস যখন তুই নেই আমি পুরো ফিট ।
আটবার হয়ে গেল , গুরগুর ডাকে পেট
কোর্টে যদি না যাই তো কেস খাবো ভরপেট।
সাতপাঁচ ভাবতেই কেটে গেল দিনমান
জোর ধাক্কা খেয়ে দেখি গিন্নির বদনখান।
ডেকে বলে ” ও মিনসে ওঠ রে হল বেলা “
এখুনি বাজারে যা নাইলে দেখবি খেলা ।
মুখ দিয়ে লালা ঝরে মনে পড়ে মন্ত্র
ঝেঁটিয়ে করব বের তোর ষড়যন্ত্র।
কুম্ভকর্ণ ছিল না’কি তোর কি বাপ ভাই
বলবি আমার নাম ওরা জানে সবটাই।
একথা শোনার পর ঘুম কি চোখে থাকে
লুঙ্গি ধরে ছুটি বাজারের আঁকে বাঁকে ।
কপাল তো খুলল’না, যদি খোলে লুঙ্গি
সজোরে মারবে গুঁতো বিখ্যাত ভৃঙ্গি।
চাল ডাল তেল নুনে ভরে ওঠে থলিটা
দেখি ট্যাঁকে গোঁজা নেই পয়সার ঝুলিটা।
ধার দিয়ে মুদিব্যাটা শুরু করল শ্রাদ্ধ
বুঝি আমি কেমনে যাবে দিনটা অদ্য ।
এখনই লাগবে টাকা মছলি আর আনাজে
খুঁজে চলি বাহানাটা মগজের কানাচে ।
মাছ কিনে দোকানিকে বললাম শোন ব্যাটা
শাস্ত্রমতে আজ আনি নাই পয়সার বটুয়াটা।
গতকাল রাত্তিরে দাদুটা যে গেছে মরে
টাকা তুই পেয়ে যাবি শ্রাদ্ধ মিটলে পরে ।
হাঁ করে দেখে সে তো মাছি ঢোকে মুখেতে
আর কি থাকি আমি তার গালি শুনতে ।
আনাজ কেনার পরে ফেরিওয়ালা টাকা চায়
পেটিএম স্ক্যান করে টাকা যে মেটাব তায়।
সে বলে এ কেমন রঙ্গ তুমি সকালে করলে দাদা
হেসে বলি ডিজিটাল জামানাতে তুই তো বড় হাঁদা।
কেটে পরি জলদি বাজারের দোর থেকে
বাড়ি ফিরে থলি রেখে বৌকে ডাকি হেঁকে।
সব দেখে গলে গিয়ে লজ্জায় হল যে লবঙ্গলতা
বলে তুমিই তো আসল হিরো একটাই হক কথা।