চির নির্বাসনে ছিল আমার যে ব্যর্থতা গুলো,
সব একসাথে জড়ো হয়ে মিছিল করে চলে আসে প্রতি রাতে
আমার বাড়ির উঠোনে।
শিশুকাল থেকে বুড়ো কাল যাদের দখলে ছিল,
একছুঁটে পালায় সঙ্গীহীন হয়ে।
আমি তখন নদীর চড়ায় পড়ে আছি,
ঘুমনোর ভান করে।
ভ্যানভেনে দু_চারটে নির্লজ্জ মাছি আমার মুখে ও চোখে।
ঢাক_ঢোল কাড়া নাকাড়া বাজায় জোরে জোরে।
কিছু ব্যার্থতা যারা একেবারে হতচ্ছাড়া,
কিছু ব্যার্থতা যাদের ছিল লাজ লজ্জা ,
তারা খোল কর্তাল নিয়ে আমাকে ঘিরে সংকীর্তন করে মৃদু স্বরে।
সবার হাতেই হাসির ফোয়ারা
আমাকেই গুঁজে দিতে চায় ।
আমার প্রতিটি দিন কি এক ব্যাথায় যারা কেঁদে কেঁদে ফিরেছিল
তারা কোথায় ?
আমার বাগানের ফোঁটা ফুলগুলো এখন অন্য বাগানে ফোঁটে।
আমাকে দেখে যে নদী খিলখিল করে হেসে ওঠে
এখন অনেক দূরে নাগালের বাইরে ।
আমার প্রিয় নারীরা সব
যাদের যোনি গচ্ছিত ছিল আমার কাছে ,
এখন তারা অন্য বক্ষলগ্না।
অন্যের শিউলি কামিনী তোলে
আমার কবিতার প্রতি লাইন , প্রতিটি মেট্রো স্টেশনে মাথা খুঁড়ে খুঁড়ে আত্মহত্যা করে ।
আমার ব্যার্থতারা সব দুয়ো দেয়
থুতু ছিটিয়ে চলে যায় বৈরাগ্য সুদূরে …..
আমি আবার না ঘুমালেও
ঘুমের ভান করে পড়ে থাকি
বছর বছর ।