আমাদের পাঁচ আঙুলে ছিলো ইন্দ্রজাল
বইয়ে দিতে তুমি মরুভূমি জুড়ে ঝর্নাধারা,
আমি করতাম কৃষ্ণচূড়াকে রক্তলাল
তোমার ছোঁয়ায় পাথরের গায়ে জাগতো সাড়া।
তুমি চাইলেই বনভূমি হতো সবুজ সোনা
আমার চুমোয় মেঘমালা হতো কোমল নীল,
তোমার ছোঁয়ায় দিগন্ত হতো সোনায় বোনা
আমার ছোঁয়ায় নর্দমা হতো রুপোলি ঝিল।
আমরা ফোটাতাম পথে পথে শুভ্র পদ্মফুল
ছড়িয়ে দিতাম শহরের মুখে ইন্দ্রধনু,
সূর্যকে ঢেকে উড়তো আকাশে তোমার চুল
চাঁপার গন্ধ ছড়িয়ে চলতো তোমার তনু।
তুমি চাইলে হাঁসেরা ভাসতো হ্রদের জলে
আমি ভাবলেই উড়তো আকাশে বকের সারি,
গন্ধরাজের উঠতো গন্ধ বুকের তলে
আমাদের সাথে মেঘের ওপর উঠতো বাড়ি।
আমরা এখন খুইয়েছি সেই ইন্দ্রজাল
ভিখিরির মতো পথে পথে ফিরি স্বর্গচ্যুত,
আমাদের ঘিরে থাবা মেলে আছে হিংস্র কাল
বেঁচে আছি না কি এখন আমরা দুজনই মৃত?