আয়োজন হয়েছে আবার নতুন করে পাশা খেলার।
ঠোঁটে হালকা হাসি নিয়ে কৌরবদের মধ্যমনি নব্যযুগের শকুনি।
গৃহকোণে নিজের কাজে ব্যস্ত আজকের দ্রৌপদী।
পড়েছে পাশার দান, আবার ও শকুনি করেছে কিস্তিমাত।
আবারও লুন্ঠিত ও বেআব্রু দ্রৌপদী????
সভায় উপস্থিত সমস্ত রথী মহারথীদের আবার ও নানা ছুতোয় নিশ্চুপ অবস্থান।
ধীর ও দৃঢ় গলায় দ্রৌপদী বলে ওঠে:
নারীদের প্রধান ভূষণ লজ্জা,যা এই সমাজেরই সৃষ্টি,
সেই ভূষণ আমি আজ সর্বসমক্ষে ত্যাগ করলাম।
থমকে যায় দুঃশাসন।
সে তাহলে কি হরণ করবে!!
হা হা হা করে হেসে উঠে দ্রৌপদী, হাসতেই থাকে।
বহু দূর থেকে ভেসে আসে মধুর বংশী ধ্বনি ।
অসম্পূর্ণ থেকে যায় দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ।
নিজের লজ্জা ত্যাগ করে গোটা সমাজকে লজ্জিত হতে বাধ্য করে আজকের দ্রৌপদী।