রাত নিঝুম! নিদালির মন্ত্রে চরাচর সুপ্তি মগ্ন।
আঘুনি হিমের সোহাগে পাকা ধানের শীষ শরমে নতমুখী।
দূর আকাশের আঙ্গিনায় তারাদের সলমা চুমকি–
যেন কালো’ওড়নায় আলোর ফুলকারি।
নদী তীদের সরষে ক্ষেতের আলে,ঘাট ছোঁয়া পাকুড়ের ডালে,
নিশি টহলে বেরোনো পেঁচা দম্পতির সরব উপস্থিতি।
দূরে জঙ্গল লাগলো সবজি ক্ষেতে জোনাকির জমায়েত।
রাতচরা পাখির ডানার সন সন শব্দে
রাতের নীরবতায় চিড় ধরছে।
হিমেল হাওয়ায় নিশিকুসুমের মদির সুবাস রাতকে মাতাল করেছে।
ঠান্ডা হওয়াটা শাল জঙ্গলের সাথে ফিসফিসানি জুড়েছে।
বাঁশ জঙ্গলের ফাঁকে বাঁকা চাঁদ উঠেছে।
জ্যোৎস্নার রুপালী চাদর যেন নিদালির মন্ত্র পড়ছে।
শেয়ালের যাম ঘোষণায় চমকে উঠছে জল জঙ্গল।
নদীর বুকের চরে বেনাকাশের জঙ্গলে কাঁপন তুলছে হিমেল হাওয়াটা।
গ্রামপ্রান্তের হরি মন্দিরের চূড়ার ধজা যেন আহবান করছে শীতকে।
কুয়াশার আবছায়া তে হিম ঠান্ডায় গাঁদা ফুলের হলুদ পাপড়িতে শিশির জমছে।
খেজুর গাছে রসের হাঁড়িতে জমছে গাছের বুকের ধন— সুমিষ্ট খেজুর রস!
আঁধার তরল হয়ে এলো—
দূর থেকে ভেসে এলো প্রথম মোরগের ডাক–
তার দিনমণিকে আহ্বান—
শেষ হলো এক হিমানি আঘুনি নিশির।