বলেছিলে-“ভুলতে চাইছো পূর্ণা?”ভোলা কী এতই সহজ!
থর থর কেঁপে উঠেছিলো হৃদয়!
যে তোমাকে নিঃস্ব রিক্ত সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসী বানালো,
সে পূর্ণা হয় কী করে?খুঁজতাম তার রহস্য!
জন্মের পর বড়ো আদরে নাম রেখেছিল সম্পূর্না ।
নিয়তি হেসেছিল অলক্ষ্যে,সম্পূর্না ছিলাম বৈকি!
বিদ্যা বুদ্ধি যতটা ,তারও চেয়ে বেশি যে অনুভূতি!
……………………….
তুমি দেবদূত, এসেছিলে আলোক -বর্তিকা হাতে।
আলোয় আলোময় হয়ে উঠলো আমার ভুবন!
চাইলাম আলোর স্রোতে ভাসতে! তুমিও তাই,
প্রাণপনে চাইলে আপন করতে আমায়……..
সে আলোর আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা !
ভয় পেলাম দ্বন্দ্ব দ্বিধার টানাপোড়েনে মন হলো উদ্বেল,
বললে-“সব ছেড়ে চলে এসো!
শেষ গন্তব্যে যাওয়ার আগে একান্তে এসো একটিবার ,
এসোই না হয় সোহাগের অনুরাগে।”
পারলাম না!আমার অস্তিত্বে সংস্কারের অবয়ব
এতই বড় হয়ে উঠলো !তুমি ঢাকা পড়ে গেলে।
শেষবারের মতো দিলে ডাক -“সব ত্যাগ করে চলে এসো!”
ত্যাগ করার মতো আর কিই বা ছিলো আমার ?
দ্বিধাহীন দর্পের দর্পণে সম্বল শুধু যে তোমারই মুখখানি!