সময়ের শরীর গুটিয়ে এলাম স্মৃতির তোরণেযেখানে কিশোর চাঁদের চোখেকিশোরী জ্যোৎস্নার

প্রিয় নিষিদ্ধ পুরুষ , সমাধানহীন সমীকরণ সজ্জায় আমি সামাজিকতবুও কেন

এগিয়ে যেতেই হবে , পথিক শপথমাঝে মাঝে পিছনের হালে পাঠ

কেবলই ম্যারাথনী মুখ বদলে যায় ।আমারও তো ক্ষয় হয় ভিতরে

প্রলয়ের পাল তুলে ঘিরেছো এ -মন ,ছেড়ে দিলে ছিঁড়ে যাবোহয়তো

নিজেকেই ফিরিয়ে আনতে হয়ফেরারী আনন্দের কূলে নিজেকেই ।ক্ষয়ে যাওয়া মানেই

বহুমুখী বহুরূপী বসুধায় যুদ্ধের শেষ নেই জেনেশিশির সন্ধ্যা ফোটে আউশ

ইলশেগুঁড়ি ইচ্ছে আমার জীবনকে ধমকালো— ভাসিয়ে দেবার অক্ষমতা মানিয়ে নেওয়া

তোমার এক জোয়ার পূর্ণ দৃষ্টির সম্মানেআমার চোখে উজাগর শিশির বৃষ্টির

এভাবেই ঢেউ ঢেলে দিই স্রোতের পাতায়সুন্দর আসবে বলে মাঝ দরিয়ায়

কবে আর ঘন হবো ঘনিষ্ঠ জীবন !এইটুকু আলগা আলাপ নিয়ে

তারপর শোকের অশৌচ স্মৃতি ফিকে হয়ে আসে ।দৈনিক দৃশ্যদল এবং

ভাসছো ভীষণ সর্বজনীন ভীড়েভীড় ঘুমোলে জাগছো ধ্রুবক একা ,একা হওয়া

শরৎ সাগরে শিশিরের স্রোতমেঘের পরনে তুলো ,অভ্রের মতো রোদ ঝরে

শিউলির ঠোঁটে শিশিরের চুমুমেঘেরা নগ্ন তুলো ,রোদ রোমকূপে অভ্র বৃষ্টিপ্রকৃতির

রূপোলি রোদের বাতাসে কাশের নদীউঠোনে এসেছে , ঘুরিয়ে রয়েছি মুখ

বহু জন্ম পার হয়ে একই জন্মে আটকে আছি বহুদিন ।এই

জানা-অজান্তে জড়িয়ে রেখেছো জিনশারীরিক সুরে মনের সরোদে ধুন ,ঊষরের ভীড়ে

দৃশ্যেরা বারবার দিক বদলায় ।আমার বিশ্বাসী বায়ু প্রতিটি প্রশ্বাসী নিঃশ্বাসে

বাড়তি আয়ু , মেঘ ডুবেছে ঝুপ্খরার লোমে গুটিয়ে আছি কূপ

যদিও মানসিক সন্ত্রাসে বিধ্বস্ত স্বাভাবিক বিবেকের শ্বাসতবুও মগজের রাগী লাখো

ক্লান্ত স্টেথোর কোলে তোমার বিশ্রাম নেবার অধিকারসুরক্ষিত রাখার যোগ্যতা কই

চাইলে ধরে , আনবো বেঁধেছেড়ে কাটতেও পারি ,লোপাট করার হুকুম

ফাইল ভরা অক্ষর মুখ , দেখেছো মেল খুলে ?সময় যদি

–বিবেক কী পরিবর্তনশীল ?প্রশ্নটি আমার নয় ,নিহত এক কাকের চারপাশে

দেখেছো সাগরে ঢেউ চুম্বনে তারাদের থরোথরো !শুনেছো সেতারে মুগ্ধ বাদরে

অপেক্ষায় ভরে আছে আমার শূন্যতাশূন্য মানে শুকনো নয় , ভরা

গোপন গোপনে থাক রোম রোম তিলে ,বিস্ময় শুষে নিলে দৃষ্টির

তোমার কাছে বৃষ্টি আছে , দৃষ্টি দাওনিজেই নিজের বিষাদ ডেক-এ

যখন শিশুরোদের আলতো আদরেজেগে ওঠে নুয়ে পড়া কৃষকের শীষ সংগীতআর

তোমার দৃষ্টির মোমে গলে যায় দূরত্বের মেদ ,আমার অভিমানের শীর্ণ

ভাসা ভাসা মেঘে নয় , আমূল গভীরেবিজনে বৃষ্টি পড়ে মনের

এক সাদা হোক , কালো হোক , বেড়ালের গানআসলে ধরছে

কীভাবে থাকবো ভালো , চারিদিকে রক্তের রণ !বিবেকের ঘুম কাড়ে

তোমার সময় -সম পেতেআগামী জন্মে যেতে যেতেব্যস্ত বাতাসে কানামাছিবুড়ি -ছোঁয়া

নিরুত্তাপ অবসরের শীতল শূন্যতায়ফুরিয়ে আসছে বিষহরী মনের উষ্ণতা । হেরিটেজ

ধরো যদি বলিপেখমের পাল হও , মাস্তুলে কদমের কলি !

কেবলই এটার বদলে ওটা হয়ে যায় যখনই আঁকবো ভাবি শ্রাবণী

গুনগুন বৃষ্টির মাসেতোমার সন্ধ্যা চোখ ভাসেআবার বসবে কবে পাশে ?

এবং ভেবেছো শেষ নাকি ?জীবনের জ্বর এসেআবারও করবে ডাকাডাকি ।