ও মেয়ে তুই লক্ষী হবি ?
সাপটাবি তোর ঢেউ খেলা চুল ।
ভাত রাধবি উনুনশালে ;
প্রথম পাতে লাউঘন্ট ,
জানি ওটা তোর দুচোখে বিষ !
তবুও ঠিকই মুখটা বুজে ;
গ্রাস তুলবি মুখের পরে ।
লক্ষী মানেই ধৈর্যশীলা ,
সহনশীলা রত্তি মেয়ে ।
নিন্দুকদের হাজার গালি ,
গিলতে পারে লক্ষী মেয়ে ।
অলক্ষীরাই তর্ক করে,
প্রতিবাদের ঝড় তোলে ।
সম্মানটা ঠুনকো হলেই ,
গর্জে ওঠে বিদ্বেষে ।
লক্ষী মানেই লতায় পাতায় ,
পরগাছা এক পরজীবী ;
যার আদ্যোপান্ত মায়ায় মোড়া ,
আকন্ঠ নীল এক নারী ।
লক্ষী মানেই ঐ মেয়েটা ,
সিলিং ফ্যানে যার শাড়ী ;
“আর একটু মানিয়ে নে মা “
লক্ষী খেলো ঘুমের বড়ি ।
লক্ষীদেরও বুকের ভিতর ,
একটা নরম মন আছে ।
মনপাখিদের হল্লা আছে ,
আকাশ দেখার সাধ আছে ,
নিজের জন্য আস্ত একটা
বিকেল কেনার সাধ আছে ।
ও মেয়ে তুই অলক্ষী হ’ ,
বাঁচনা এবার নিজের মতো !
বুকের ভিতর শ্বাসটা ভরে ,
বলনা দেখি ভালোই আছি !!