পালাও, পালিয়ে যাও,
পালাও, পালাতে থাকো,
পালাও, তোমার না পালিয়ে
রক্ষা নেই। দেখতে পাচ্ছ না, চারদিক থেকে ওরা
তোমাকে ধরবে ঘিরে, পালাও, পালাও।
পেছনে লোমশ হাত, খড়্গ এক্ষুণি পালাও।
এখন যেদিকে পারো আকাশে, পাতালে
প্রাণপণে ছুটে যাও, দড়ি যদি না-ও জোটে, হাত
সাপের দিকেই দ্রুত বাড়াও, এখন মানুষের চেয়ে জেগে
ওরাই অধিক নিরাপদ। অনর্থক
দেয় না ছোবল সাপও। অথচ হিংসার ব লল্গাহীন
খেলায় হেলায় মেতে ওঠে মানুষের তক্মা-আটা জীবগুলো!
গ্রামে-গঞ্জে শহরতলীতে, নারায়ণ, দীপঙ্কর, অরুণিমা
শঙ্কায় কাটায় দিনরাত; বনলতা, অরুন্ধতী
বস্ত্রহরণের ভয়ে কম্পমান অমাবস্যা রাতে। এখন তো
দ্বিপ্রহরই মধ্যরাতে হাহাকারে, অসহায় কান্নায় কুমারী
লুটায় মাটিতে ব্যাভিচারী নরপশুদের ক্লেদজ থাবার
স্পর্শে মূর্চ্ছা যায় আর চারদিক থেকে অকস্মাৎ রহমত, নুরুদ্দিন,
নির্ভীক মানুষ ছুটে আসে ভায়ের বোনের
লজ্জা নিবারণে আর তাড়াতে পশুর ঝাঁক শান্তিনিকেতন
থেকে, বুকে টেনে নেয় নারায়ণ, দীপঙ্কর, অসীমকে, হাত
রাকেহ বনলতা, প্রমীলার হাতে। অমাবস্যা ছিঁড়ে জাগে পূর্ণিমার চাঁদ।