দীর্ঘ সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে বিশাল গুহা গহ্বর থেকে
উঠে এসেছে যে কবি জীবন আমার
চারপাশের ঝলমলে কৃত্রিমতা ও মিথ্যার মধ্যেও
সে বহন করে চলেছে জীব-জগতের এক
অলৌকিক আলোক শিখা ও অগ্নি- স্ফুলিঙ্গ
যার উজ্বলতায় ছড়িয়ে পড়া সবুজ বিস্তৃত মাঠকে
মনে হয় অনন্ত ভালোবাসা…
অন্ধ ও বধির বিষাদের পাহাড় অতিক্রম করে যাওয়াকে
মনে হয় অসম্ভব জেগে থাকা
আর বিড়ম্বিত অস্থির সময়কে মাড়িয়ে যাবার উন্মাদনাকে
মনে হয় জীবনের এক অপূর্ব স্পর্ধা
আমার এই কবি জীবনের মুখোমুখি যখন
অর্থহীন জিজ্ঞাসা চিহ্নের মতো চোখ তুলে তাকায় এসে
কিছু ভন্ড ,মুর্খ ও দাম্ভিকের কবন্ধ আত্মা
আর নিঃসীম শূন্যতার ভেতর থেকে হো হো হেসে ওঠে
নির্বোধের মতো,তখন মনে হয় ওরা যেন
ভয়ংকর কোনও বিস্ফোরণে যাবে আর
ধ্বংসের জন্য হানবে চরম কোনও আঘাত
আশংকার এই দোলাচল উপেক্ষা করে তবুও
কবিজীবন আমার নিজেকে খুঁজে নেয় নিজের ভেতর
এবং নিজেকে নিয়েই সে সমস্ত কৃত্রিমতা
ও মিথ্যার গহ্বর থেকে বেরিয়ে এসে
লিখে যেতে চায় নিজেকেই প্রতিদিন…
লিখে যেতে চায় জীবনের প্রকৃত সত্য ও সুন্দরের বিস্ময়-রহস্য
আর কান পেতে শুনতে চায় সমবেত দ্রোহের
আকাশ কাঁপানো শব্দ- ভেদী উচ্চারণ
আর তাই জন্ম ও মৃত্যুর উপকথার গভীর
অন্ধকার থেকেই শুরু করতে চায় সে
যাবতীয় অবরুদ্ধতা ভেঙে ভেঙে আরও
সামনের দিকে এগিয়ে যাবার অনিবার্য অভিযাত্রা ।
কবিজীবন যে আমরণ যোদ্ধা
কবিজীবনের শক্তি ও সাহস আর তার যুদ্ধাস্ত্র
‘কবি সে নিজেই’ ।