তুম আয়ে তো আয়া মুঝে ইয়াদ গলি মে আজ চাঁন্দ নিকলা’…
শুনতে শুনতে ভাবছি,
কত এমবি মেমারি খরচ করলে দেখা যায় সমর্পণ, স্মৃতির রঙ্গীন কোলাজ, আমাদের ভালবাসা!..
তোর সাথে অভিমান, ঝগড়া, ক্ষনিক-চ্ছেদ, ঈর্ষা, কিছুটা অনুশোচনা নেপথ্যের চলচ্চিত্র!
নাগরিক শাওয়ারের জল শরীর বেয়ে নামে
তবু….
যৌনতার শিকড় ছোঁয় না।
সমান্তরাল পথে এক সাথে প্রথাভাঙা;
অনেকটা-ই ব্যাক্তিগত, কখনও ছুটে চলা,
কখনও থমকে,
তবে…
পুরোটাই ‘তুমি আছো’ বিশ্বাসের শ্বাস জুড়ে পাওয়া।
ঝুলন্ত বাদুরের মতো দিনগুলো একটার পর একটা স্টেশন ছাড়ে;
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা, বিকেলের সাথে রাত দশটার তফাৎ কতটা?
তবুও চাঁদ হ্যালোজেনের আলোয় ট্রেন লাইনের সমান্তরাল ছোটে।
প্রেম-অপ্রেম-বিরহ সবেতেই চাঁদ ধ্রুবক ষোল আনা…
প্রতিদিন ঠিক সময় ধরে অপেক্ষার রিংটোন বাজে, অতঃপর, দিনভর হঠাৎ হঠাৎ বাজতেই থাকে। কথার পাত্রে রঙ্গীন ক্রিস্টাল জমে। রাত বাড়লেই হোয়াটস অ্যপে তোর বেপরোয়া রোদমাখা শব্দরা ভেসে ওঠে।
হলুদ ট্যাক্সিতে পাশাপাশি বসে ঘাড় গুঁজে ফিসফিস করে কতো কথা বলা,
তোর চওড়া রিস্টের ধার ঘেঁষে —
কখনও ভীড় রাস্তা, ফুটপাতে, মলে পাশাপাশি হাঁটা,
আইনক্সে হালকা ছোঁয়ায় তোর চমকে ওঠা;
কখনও রেস্তোরাঁয় মুখোমুখি বিশ্বাসের সন্ধ্যায় বসা!
দেদার আড্ডা, বিষয়ের ধরাবাঁধা গলি নেই, রেট্রো কালচার মুভি গৌতম ঘোষ অঞ্জন দত্ত লাল তেরঙ্গা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক একদম শেষে ধানসিঁড়ির পাড় ধরে ঈগলের
সোনালী রোদমাখা আবেগে ভাসা..!!
কখনও মান-অভিমান, হালকা হুমকি, ঝগড়ার মুডে বেশ কিছু বলে যাওয়া, কখনও ধূর ছাই এই তবে রাখলাম এখানেই শেষ করা….
চরম পাগলামির এ এক নেশা!
সময়ের বৃত্তে ঈথারে যখন ভেসে আসে, ‘আবার কবে দেখা হবে?’ ব্যাকুল জিজ্ঞাসা! অপেক্ষার বুকের ভেতরে…
তখন হাজার তরঙ্গে আমার ভেসে চলা।
দুই পৃথিবীর একই অক্ষরেখা বরাবর ছুটে চলা। নো এন্ট্রি জোন পেরিয়ে উন্মুখ তোর মুখ ছুঁতে চাওয়া…