অবুঝ শিশু
মায়ের কোলে উঠে হাসত একসময়। স্তন্যপানে তার হাসি ঝিলিক দিয়ে উঠত। মায়ের কাপড়ের খুঁট চিবাতে চিবাতে পা দোলানো। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীব্যাপী শিশুদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোল। তাই তো সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন,”বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”। ছোটরা মাকে আঁকড়িয়ে সাহসী মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। দাদা বা দিদি ছোট হলেও মায়ের হাত ধরে চলে। কোলের শিশুটি মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমায়। সূর্যের আলোর মতোই মায়ের স্পর্শে সন্তান ধীরে ধীরে বড় হয়।অতিমারীতে দুর্ভিক্ষ অনাহার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। পরিযায়ী শ্রমিক রূপে কাজ করে বহু মানুষ। লকডাউন এর জন্য তাদেরকে নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে আসতে হয়।মা অনাহারে মাইলের পর মাইল রাস্তা হেঁটে স্টেশনে পৌঁছে চিরতরে বিদায় নিল। আর সন্তান প্রতিদিনের মত তার মায়ের স্তন্যপান করতে লাগলো। অবুঝ শিশু জানেনা তার মা মৃত। হে বিধাতা তুমি অবুঝ শিশুকে ভালো রেখো।