জীবনের চূড়ান্ত পর্যায়ে তোমাকে রাখার ভাবনায় ব্যর্থ হইয়াছি বহুবার
অগ্রসর হয়েছিনু তোমাকে পাবো বলে
পাইয়াছি অবশেষে;
পরিশেষে পাইয়াছি পথ জীবনকে হারাবার
সুখের নদী ভরাট হইয়া গিয়াছে বহু আগে
জমাট বাধা ছিল তাহার নিরবে অহংকার।
এখন জ্বালার মালা পরাইলো সে আমারে
আমি মালা খুলে সরে যাব;
এই নড়বড়ে আলো হতে ঝরে যাব;
বিষাক্ত বাতাস কেঁদেছিল কেন কাল?
জানা ছিল না অতি সহজেই ডুবিয়া যাবে এই মহাকাল।
আমি কালের কালো কাক হইয়া বঞ্চিত পৃথিবীর রুষ্ট নাগরিক
পথের কোলে পথ পরিছে ঢলে
কোন পথ তবু আজও হয়নি যে মানবিক
বিন্দু হিমাচলের চঞ্চল আবহ
নিলো কাড়িয়া প্রাতরাশ মম;
ভাষার পাহাড়ে নর্দমা ঠাসা
সময়ের গায়ে লেগে আছে মরীচিকা–
জীবনের সন্ধিক্ষণ বড়ই দুর্বি সহ।
মেঘেদের শরীরে লেখা চিরাচরিত বিচরণ
বিগলিত মনোময় জাগি ওঠে সদা
এই হৃদয়ে ধরা দেয় আসিয়া
আত্মবাণীর কোণে প্রকাশিত হয় নব কোন শিহরণ।
অবশেষে পরিশেষে মিশে যায় জীবন এসে
সহজ জীবন হয় কেন অ-সহজ ;কেন মিশে যায় অসহনীয় ক্লেশে?
বিপদের মোহনায় অবারিত সংকেত দেয় শুধু ক্লেশ
এই ঘুনে ধরা জীবনেও শুনে যাই প্রতিশব্দ বয়ে যায় রেশ।